হুমায়ূন আহমেদের লেখা, তোমাদের জন্য

হুমায়ূন আহমেদ

সূর্যের দিন বইটার শুরুটা কী মজার! ‘এ বাড়ির নিয়ম হচ্ছে যাদের বয়স বারোর নিচে তাদের বিকেল পাঁচটার আগে ঘরে ফিরতে হবে। যাদের বয়স আঠারোর নিচে তাদের ফিরতে হবে ছটার মধ্যে।’ এমন মজার যার শুরু, সেখানে কে জানত একাত্তর সালের মন কেমন করা এক গল্প তৈরি হয়ে যাবে কী এক জাদুমন্ত্রে! কে জানত যে ওই গল্পটা ওই সূর্যের দিনের কথা বলবে, যেদিনের জন্য ‘এক দেশের ত্রিশ লাখ মানুষকে প্রাণ দান করতে হলো।’ ছলছল চোখে যখন ছোট্ট এই বইটার ততোধিক ছোট্ট এক পরিশিষ্ট পড়েছিলাম সেই কত বছর আগে, তখন কে জানত কখনো ভুলব না ওই কটা লাইন, ‘খোকন মে মাসের শেষদিকে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার সঙ্গে মৃত্যুবরণ করার জন্য একটি চৌদ্দ বছরের বালককে “বীর প্রতীক” উপাধি দেওয়া হয়...একবার এই ছেলেটি “ভয়াল ছয়” নামের একটি ছেলেমানুষি দল গঠন করেছিল এবং ঠিক করেছিল ভয়াল ছয়ের সদস্যরা পায়ে হেঁটে আফ্রিকার গহিন অরণ্য দেখতে যাবে। ছেলেমানুষদের কত রকম স্বপ্ন থাকে।’

কিংবা ‘পুতুল’ নামের ওই ছেলেটার কথাও ভোলা অসম্ভব। সেই যে ধনী প্রিন্স আর গরিব পপারের ‘প্রিন্স অ্যান্ড দ্য পপার’-এর মতো কী সুন্দর একটা গল্প আছে পুতুল বইটার। আর কী সুন্দর বইটার ভাষা, ‘তিনটা বিশাল বড়ো গাছ, একটা রেনট্রিগাছ। এত বড়ো যে মনে হয় এই গাছের পাতাগুলো আকাশে লেগে আছে। আর দুটি হচ্ছে ক্যম ফুলের গাছ। ক্যম ফুলের গাছ দুটি পাশাপাশি—যেন দুই যমজ বোন। একজন অন্যজনের গায়ে হেলান দিয়ে আছে। বর্ষাকালে গাছ দুটিতে কী অদ্ভুত ফুল ফোটে! সোনার বলের মতো ফুল।’ আর এই বইটার মূল সংস্করণে আমাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় শিল্পী রফিকুন নবীর মায়াবী প্রচ্ছদ আর অলংকরণ মনে গেঁথে রইবে সব সময়।

লেখকের বড় ছেলের নাম নুহাশ। সে যখন খুব ছোট তখন তাকে খুশি করার জন্য তিনি লেখা শুরু করেন নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ। রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ছেলেকে কয়েক প্যারা করে পড়ে শোনান। নুহাশ একই সঙ্গে আনন্দিত হয় এবং ক্লাস করে। তাকে নিয়ে একটা উপন্যাস লেখা হচ্ছে এই নিয়ে আনন্দ, কিন্তু উপন্যাসের নুহাশ একটি মেয়ে এই কারণে রাগ।

রনির বাবা-মা দুজনেই নকল! রনির জন্মের সময় তার মা মারা যান। তখন তার বাবা আরেকটা বিয়ে করেন। তখন থেকে তার সত্মা। তারপর রনি যখন ক্লাস টুতে উঠল তখন তার আসল বাবা জাহাজডুবি হয়ে মারা গেলেন পর্তুগালের পাশে ‘ব্লু-ক্যানেল’ নামের একটি সমুদ্রে (‘ক্যানেল মানে খাল’ সমুদ্রের নাম ‘নীল খাল’ হলো কেন কে জানে!)। তখন সত্মা আবার বিয়ে করেন। সেই থেকে রনির বাবা-মা দুজনেই নকল! শুধু কি মন খারাপের গল্প? সত্বাবা-সত্মায়ের অত্যাচারের কাহিনি? উঁহু! আরও অনেক কথা, অনেক গল্পের বই ছেলেটা।

টগরদের বাড়িতে ওই দিন সন্ধ্যায় হুলুস্থুল অবস্থা। কেন? কারণ, ‘একজনকে ছেঁচা দেওয়া হবে। সেই একজন ভয়ানক একটা অপরাধ করেছে। এমন ভয়ংকর অপরাধ যে বাড়ির সবার মুখ গম্ভীর। ছেঁচা দেওয়ার কয়েকজন সকাল থেকেই বলছে, আনুষ্ঠানিক শাস্তি তো আয়োজন লাগে। ছেঁচা দেবেন টগরের বড় চাচা, চৌধুরী ফজমল হোসেন...। আজ যাকে ছেঁচা দেওয়া হবে সে টগরের ছোট মামা। তার নাম শুভ্র...যে ভয়ংকর অপরাধের কারণে শুভ্রকে আজ সন্ধ্যায় শাস্তি দেওয়া হবে তা হলো—গত বুধবার বেলা এগারোটায় হলুদ পাঞ্জাবি পরে সে হিমু হয়ে গেছে।’ হিমু হয়ে গেছে? মানে! কোন হিমু? ওই যে বিখ্যাত হিমু, যাকে নিয়ে বই, নাটক, সিনেমা আছে? আছে কিংবদন্তি? কী শাস্তি দেওয়া হলো শেষ পর্যন্ত! কী জানি, এত শত উত্তর কী মুখস্থ করে বসে আছি নাকি আমি! উত্তরগুলো সব আছে হিমু মামা বইতে।

আখলাক সাহেব শিক্ষক। তিনি ক্লাসে কো-অর্ডিনেট জিওমেট্রি পড়ান। সকাল আটটায় ক্লাস। সকাল সকাল না উঠতে পারলে ক্লাস মিস হয়ে যাবে। এমনিতে সকাল সকাল ওঠায় তার অসুবিধা হয় না, কারণ রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় তার। কিন্তু মুশকিল হলো ওই দিন। এক বিপদগ্রস্ত ভূত রাতবিরাতে এসে হাজির। কী বিপদ! ভূতের মতে ‘সে এক লম্বা ইতিহাস, সময় নিয়ে বলতে হবে।’ ওই ‘লম্বা ইতিহাস’ জানতে চাইলে ভয়ংকর ভুতুড়ে বইখানা পড়ে নিতে হবে একটু সময় করে।

টুকুনের জ্বালায় তার বাবা-মা অস্থির। ক্লাস থ্রিতে পড়া টুকুনের সঙ্গে নাকি একটা কাক ইদানীং গল্প করে যায়। এমনকি জন্মদিনে ওই কাক তাকে জোং-এর বাচ্চা উপহার দিয়ে যায়! জোং-এর বাচ্চা কী? কী, কে জানে—দেখা তো যায় না ওটাকে! কিন্তু সে সবার সামনেই নাকি কাগজ খায়! হয় এমন! হতে পারে কখনো কখনো! এসব অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা নিয়েই হালকা-পাতলা অসামান্য বই একি কাণ্ড!

কাক-কাণ্ডের মতো পিঁপড়ে-কাণ্ডও রয়েছে! গল্প শুরু হয়েছে তিন বোনের কথা দিয়ে—তিলু, বিলু, নীলু। তিলু পড়ে ক্লাস সেভেনে, সে বড্ড শান্ত। বিলু থ্রিতে, বড় বোনের তুলনায় বেশ অনেকটাই অশান্ত! আর সবচেয়ে ছোটজন অর্থাত্ নীলু এখনো কোনো স্কুলে ভর্তিই হয়নি। বলা ভালো, কোনো স্কুলে চান্স পায়নি। তার মহাব্যস্ত ডাক্তার বাবাই নীলুকে পড়ানোর ভার নেন। কিন্তু কোথায় পড়ানো, কোথায় কী! সময়ই মেলে না বাবা মতিন সাহেবের। অবশেষে তিন বোনের মা শাহানা বেগমের কথায় ছুটি নেন ডাক্তার বাবা। দুই দিনের ছুটি। ওই ছুটিতে এক সন্ধ্যায় যখন বিদ্যুত্ চলে গেছে তখন তিনি শুরু করেন এক পিঁপড়ের গল্প। তেরো বছর বয়সী মেয়ে পিঁপড়ে পিপলী বেগমের গল্পই রয়েছে পিপলী বেগম বইয়ের পাতায় পাতায়, পিঁপড়ের মতো খুদে খুদে অক্ষরে।

মিসির আলির গল্প অন্য ভুবন। অন্য ভুবন কি কিশোরদের গল্প? কিশোরদের জন্য লেখা? কী জানি, কোন বই যে কাদের জন্য লেখা—সে অনেক চিন্তা করেও এখনো বুঝে উঠতে পারিনি আমি। বরং, চিন্তা করতে করতে সব চুল পড়ে চকচকে টাক বেরিয়ে গেছে আমার! আমি ধরেই নিচ্ছি পাঠকমাত্রই ইঁচড়ে পাকা এবং তারা ইতিমধ্যেই মিসির আলির রহস্যময় সব গল্পের সঙ্গে পরিচিত। মনের রহস্য এবং পার্থিব জীবনের রহস্য মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে মিসির আলির অনবদ্য কাহিনিগুলোয়। এক দুপুরে বরকতউল্লা সাহেব আসেন মিসির আলির কাছে। সমস্যা, তাঁর মেয়ে তিন্নিকে নিয়ে। গাছেরা নাকি তিন্নিকে ডাকে। তিন্নি নিজেও নাকি গাছ হয়ে যাবে! অবিশ্বাস্য এক গল্প! কী নিখুঁত তার বলার ভঙ্গি। রীতিমতো ‘আনপুট ডাউনেবল’ একটি বই অন্যভুবন।

মুনির ছেলেটা আজব কিসিমের। ক্লাসের পেছনের বেঞ্চিতে বসে সব সময়। কারও সঙ্গে কথা বলে না। পুরোটা ক্লাস জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। একবার হুমায়ূনের নামে অভিযোগ আসে যে সে নাকি ওই মুনিরের খাতা দেখে দেখে একটা অঙ্ক করেছে। ক্লাসের আরেক ছাত্র বশির। যার জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে বিপদে ফেলা। সে স্যারকে উত্সাহ দিয়ে বলে, ‘বেতন নিয়ে আসি স্যার?’

তারপর? আমি বলব না। গল্পটা বলে দিলে তোমরা বইটা কিনবে না। তাতে করে বইয়ের প্রকাশক আমাকে শাপশাপান্ত করবেন! শুধু এটুকু বলি—এই বইয়ে আছে মুনির, আছে হুমায়ূন, আছে বোতল এবং সর্বোপরি ভূত! হুমায়ূন আর মুনিরের দূরসম্পর্কের এক নানাবাড়ি থেকে পায় একটা বোতল। বোতলভর্তি ভূত! কত কাণ্ডই না করে সে ভূত! হুমায়ূনের বড় বোনের বিয়ে আটকানো, ফুটবল ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়া- কত-কী! না, আর বলব না। বাকিটা পাবে বোতল ভূত বইয়ে। আর উপরি হিসেবে মূল সংস্করণে পাবে শিল্পী রফিকুন নবীর অনবদ্য বই-চিত্র (শ্রদ্ধেয় শিল্পী হাশেম খান ইলাস্ট্রেশনের বাংলা এভাবেই বলতে ভালোবাসেন!)।

‘রাক্ষস’ আর ‘খোক্কস’—আমরা কমবেশি সক্কলেই চিনি। কিন্তু ‘ভোক্কস’-কে চিনি কি? ভোক্কস কাজ করে এক প্রকাশনা সংস্থায়, প্রুফরিডারের কাজ করে। বানান ভুল দুচোখের বিষ তার। ভুল চোখে পড়লেই ওই ভুলসর্বস্ব কাগজ তো কাগজ, পুরো বই গড়গড়িয়ে খেয়ে নেয় ভোক্কস! বইয়ের ভূমিকায় লেখক পরিষ্কার করে দিয়েছেন এই বলে, ‘বইটির নাম দেখে মনে হতে পারে

রূপকথার গল্প। তা কিন্তু না। রূপকথার এক নায়ককে ব্যবহার করে এই সময়ে গল্প বলেছি।’ আর একটা ব্যাপার, আট অধ্যায়ের এই বইয়ে, প্রতি অধ্যায় শেষে রয়েছে ওই অধ্যায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন। বই পড়ার মতো ওই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার কাজটিও বড্ড মজার। বইটির নাম? একদম সহজ—রাক্ষস খোক্কস এবং ভোক্কস।

চারখানা গল্প নিয়ে বই—ভূত ভূতং ভূতৌ। গল্পগুলোর লেখার পেছনে মজার ইতিহাস আছে। লেখক বইয়ের ভূমিকায় লিখছেন, ‘একবার আমি কী করলাম—রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাগ করলে সবাই খুব ছেলেমানুষ হয়ে যায়...রাত কাটল কমলাপুর রেলস্টেশনে...ক্ষুধা-তৃষ্ণায় শরীর অবসন্ন। তার চেয়েও বড় কথা আসার সময় দেখে এসেছি মেয়েটি জ্বরে কাতর। বেচারির কথাও খুব মনে পড়তে লাগল। এসব ভুলে থাকার জন্য গল্প ভাবতে শুরু করলাম। চারটি গল্প এভাবে তৈরি হলো...বাসায় ফিরলাম দুই দিন পর...মেয়ে বিছানায় শুয়ে। তার জ্বর ১০৫-এর কাছাকাছি...মেয়েকে খুশি করার জন্য তার বিছানার পাশে বসে গল্পগুলো লিখলাম। এক এক প্যারা লেখা হয়, সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ে...সে যখন গল্প পড়তে পড়তে খিলখিল করে হাসে তখন আনন্দে আমার চোখে পানি আসে।’ এমন ভূমিকার পর কি এই বই না পড়ে থাকা যায়? গোবর বাবু, বড় মামা বা রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা, নিউটনের ভুল সূত্র এবং নিমধ্যমা নামের এই চারটি গল্প পড়লে, ভোলা অসম্ভব! কিশোর পাঠকদের জন্য এমন যত্ন করে লেখা গল্প—আমাদের বাংলা ভাষায়, খুব কমই লেখা হয়েছে।

‘আত্মজীবনী’ মানেই খটমটে, বড়দের বিষয় নয়; অন্তত কিন্তু শৈশব বইটি তো তেমন নয়ই। লেখকের সেই শৈশবের গল্প, যে সময়টা হারিয়ে গেছে আজ থেকে পঞ্চাশ বছরেরও আগে। ওই স্মৃতির শহর (শামসুর রাহমান-এর বই স্মৃতির শহর নয় কিন্তু; যদিও ওই বইটিও অসামান্য!) কিন্তু বড় কোনো শহর নয়, সিলেটের ছোট্ট খানিকটা জায়গা-মীরাবাজার। সেই শহর, সেই বাড়ি, সেই বন্ধু, সেই কান্না, সেই হাসি মিলেমিশে একাকার কিন্তু শৈশব-এর পাতায় পাতায়।

কে লিখেছেন এই বইগুলো?

কী তাঁর নাম?

কী পরিচয়?

আমি নিশ্চিত, আমার এ প্রশ্ন শুনে তোমরা হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ে গেছো চেয়ার থেকে (বিছানায় শুয়ে থাকলে অবশ্য পড়বে না!)—কারণ, এই লেখককে আমরা সবাই চিনি। তিনি এক ও অদ্বিতীয় হুমায়ূন আহমেদ। ওপরে বলা বইগুলোর অনেকগুলোই নিশ্চয়ই তোমাদের পড়া শেষ, এমনকি কারও কারও রিভিশনও খতম। শুধু এগুলো কেন, এই লেখকের আরও আরও বইও নিশ্চয় তোমরা গুলে খেয়ে আছো!

হ্যাঁ, হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সব্বার চেনা, সব্বার পড়া। তারপরও আমরা তাঁর কাছে বারবার ফিরি। ফিরি কৃতজ্ঞতায়, ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়। তাঁর সাহিত্যগুণ নিয়ে পণ্ডিতেরা দ্বিধাবিভক্ত। কিন্তু তাঁর পাঠপ্রিয়তা নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই কারও। তিনি লেখার জাদুকর। তাঁর লেখা টানে, হাসায়, কাঁদায়, ভালোবাসায়। তাঁর লেখায় কোনো এক্সপেরিমেন্ট নেই, নতুন দর্শন নেই, নতুন তত্ত্ব নেই। ইশপের গল্পের মতো কোনো নীতিকথাও নেই। আমাদের চিরচেনা জগত্টাই আছে তার সহজ-সরল লেখায়। যদি চিরচেনা জগত্টাই থাকল, তবে কোথায় তিনি অনন্য? তাঁর অনন্যতা দেখা আর না-দেখার মাঝখানটার ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয়ায়। জোছনা, কদম ফুল, স্কুলশিক্ষক, মজার মামা—এরা কি কেউ আমাদের অপরিচিত ছিল হুমায়ূন আহমেদের লেখার আগে? না, এসব বরাবরই আমাদের চেনা। কিন্তু এদের যে দিকটি আমরা দেখিনি, বলা ভালো দেখতে পাইনি—সেই দেখার চোখটা তিনি আমাদের খুলে দেন। বড্ড ছোটখাটো সব বিষয় আর সাধারণ সব চরিত্রই আমরা দেখি অসাধারণ করে। কিসের গুণে বদল হয় এই দেখার চোখ! মমতা আর ভালোবাসার গুণে। আর কে না জানে, এই দুনিয়ায় ভালোবাসাই সবচেয়ে দামি।

তাই, ভালোবাসা ফেরি করা হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোও বড্ড প্রিয় আমাদের।