পিপীলিকা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

তেলাপোকা নিয়ে আমরা যাচ্ছি, খুব যে দিচ্ছ বাধা!
ভাবছ এটাকে মিলেমিশে খাব! তুমি কি বুদ্ধু? গাধা!
পিপীলিকা, মানে পিঁপড়া বিষয়ে মানুষ কতটা জানো?
সব উপকার বাদ রেখে দিয়ে কামড় সামনে আনো!
কামড় দেব না? তোমরা মানুষ ভাঙো আমাদের বাসা!
ভালোবাসা পেতে সকল সময়ে দিতে হয় ভালোবাসা।
তোমরা পিঁপড়া ভাগাভাগি করো রং দিয়ে, লাল-কালো
লালদের বলো অনেক দুষ্ট, কালোদের বলো ভালো!
এটা যে বিশাল ‘রেসিজম’, সেটা মানুষ কখনো বোঝো!
নিজেদের দোষ প্রকাশ্যে রেখে আমাদের দোষ খোঁজো।
চুরি করে খাও নিজেরা মিষ্টি, নিয়মিত করো চুরি
আমরা পিঁপড়া ‘চোর’ ট্যাগ নিয়ে এখানে–ওখানে ঘুরি!
পিঁপড়া-জীবন দুষ্ট মানুষ কেবলই বিষিয়ে তোলে
বাচ্চাগুলোকে পিঁপড়া খাওয়ায় ‘সাঁতার শিখবি’ বলে!
মানবতা, মানবতা করে করে তোমরা ফাটাও গলা
আমরা পিঁপড়া এত মানবিক! কোথাও হয় না বলা!
দুস্থ–পীড়িত কাউকে দেখলে পিঁপড়া–হৃদয় কাঁদে
এই যে দেখছ এক তেলাপোকা সাতাশিজনের কাঁধে।
অসুস্থ বলে কাঁধে করে ওকে নিচ্ছি হাসপাতালে
এই সার্ভিস দিয়েই যাচ্ছি যুগে যুগে, কালে কালে।
তোমরা মানুষ কারণ ছাড়াই নিজেদের ভাব বড়
অ্যাম্বুলেন্সকে দ্রুত যেতে দাও, পথ থেকে সরো সরো!