অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার দেশটির ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে। আর এরই সঙ্গে দেশটির নতুন অর্থবছরের অভিবাসন প্রক্রিয়ায়ও আসছে আবার কিছু পরিবর্তন। নতুন অভিবাসন প্রক্রিয়ায় দেশটির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার এবং কোভিড-পরবর্তী কর্মক্ষেত্র তৈরিকে কেন্দ্র করে গৃহীত হয়েছে।

নতুন প্রক্রিয়ায় সুযোগ বাড়বে পার্টনার ভিসাসহ প্রাতিষ্ঠানিক স্পনসর ভিসা এবং যাঁরা অস্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন তাঁদের জন্য।

উইকিপিডিয়া

ব্যবসায়ী এবং অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী ভিসাপ্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেবে সরকার। এ ছাড়া বেশ কয়েক ধরনের ভিসাধারীদের ভিসা ফি ফেরত, এমনকি মওকুফও করা হবে।
৬ অক্টোবর ঘোষিত এই বাজেটে ১ লাখ ৬০ হাজার আবেদনকারীকে অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের সুযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

পরিবর্তনের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে পার্টনার ভিসা। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসকারী বা নাগরিকদের স্বামী-স্ত্রীর দেশটিতে বসবাসের ভিসা এটি। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৭৭ হাজার ৩০০ পার্টনার ভিসা প্রদান করবে সরকার। গত বছর প্রায় ৪৮ হাজার ভিসা দিয়েছিল সরকার। তবে অন্যদিকে এ ভিসার স্পনসরের আবশ্যিক চরিত্র পরীক্ষা চালুসহ স্পনসর এবং আবেদনকারীর জন্য ইংরেজি ভাষা দক্ষতার শর্তও জুড়ে দেওয়া হবে। তবে ভারপ্রাপ্ত অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেন ট্যাজ পার্টনার ভিসায় ইংরেজিতে দক্ষতার বাধ্যবাধকতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তবে যাঁরা দুই বছরের প্রভিশনাল ভিসায় আসবেন, তাঁদের অস্ট্রেলিয়া আসার আগেই ইংলিশ টেস্ট পাস করার প্রয়োজন নেই। পার্মানেন্ট ভিসা পাওয়ার আগে তাঁদের অন্তত ফাংশনাল ইংলিশ জানেন বা শেখার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। এ ছাড়া তাঁরা অ্যাডাল্ট মাইগ্রেশন ইংলিশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্তত ৫০০ ঘণ্টা বিনা মূল্যে ইংলিশ ক্লাস পাবেন।

নতুন বাজেটে এমপ্লয়ার-স্পনসরড ভিসা, গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসা এবং বিজনেস ইনোভেশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম ভিসাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। বিজনেস ভিসায় ১৩ হাজার ৫০০ আবেদন গ্রহণ করবে সরকার। আর গ্লোবাল ট্যালেন্ট ভিসায় আবেদন করতে পারবেন প্রায় ১৫ হাজার ভিসাপ্রার্থী। তবে সব ভিসার ক্ষেত্রেই অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানকারী আবেদনকারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া দেশটির আঞ্চলিক শহরের আবেদনকারীদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সিডনি বা মেলবোর্নের মতো মহানগরে বসবাসকারী এবং অস্ট্রেলিয়ার বাইরের আবেদনকারীরা কিছুটা পিছিয়ে থাকবেন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে।

লেখক: অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া