অস্ট্রেলিয়ায় করোনার টিকা দেওয়া শুরু মার্চে

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে একের পর এক টিকা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে। প্রথম বিশ্বের দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া টিকা পাওয়ার তালিকায়ও ওপরের সারিতেই রয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তুলনামূলক কম ও নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে টিকা প্রদান নিয়ে কোনো তাড়াহুড়া করতে চান না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত করেন, টিকা দেওয়া নিয়ে কোনো অহেতুক ঝুঁকি নেওয়া হবে না। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকা অস্ট্রেলিয়াবাসীকে দেওয়া শুরু হওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।

ইতিমধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং নোভাভ্যাক্সের মতো টিকা নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে অস্ট্রেলিয়াবাসীকে টিকা প্রদানে এখনো নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পায়নি। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত সময়সূচি রয়েছে, আমরা যতটা সম্ভব দ্রুত এবং নিরাপদে এগোনোর চেষ্টা করছি। তবে অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ নিয়ে কোনো জরুরি পরিস্থিতি নেই, সুতরাং আমাদের অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে হবে না।’

চলতি জানুয়ারিতেই প্রথম টিকা অনুমোদন পাওয়ার কথা আশা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী মরিসন জানান, অস্ট্রেলিয়ানদের টিকার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকাটাও জরুরি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টি দেশে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে, যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার টিকা দেওয়া শুরু হতে হতে মার্চ মাস হয়ে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় যেহেতু সংক্রমণের হার কম, তাই সরকার দেখেশুনে এগোচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।