ইরানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাস শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাস শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। দূতাবাস দিনের শুরুতে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করে। দ্বিতীয় পর্বে অনলাইনে ইরানি কবি এবং দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কবিদের সমন্বয়ে নিজ নিজ মাতৃভাষায় কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কবিতা পাঠের অনুষ্ঠানে ইরানে কবি ড. ভাহিদ ইদগাহি এবং আবদুল জাব্বার কাকৈয়ি, চলচ্চিত্র পরিচালক মোর্তোজা অতাশ জমজম, বাংলাদেশের কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, গৌরাঙ্গ মোহান্ত, ড. সাহাদ চৌধুরী, মাসুদুর রহমান, সুইডেন থেকে প্রকাশিত ইউরোপের বাংলা সাহিত্য পত্রিকা ‘অনুশীলন’-এর সম্পাদক মোর্শেদ চৌধুরী, ইরানপ্রবাসী কবি নাসির মাহমুদ, সৈয়দ মুসা রেজা, গাজী আবদুর রশিদ, মো. আমির হোসেন প্রমুখ কবিতা এবং মনীষ রায় অণুগল্প পাঠ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে কবি আবদুল জাব্বার তাঁর হেলাল হাফিজের ‘অমীমাংসিত সন্ধি’ কবিতাটির ফারসি অনুবাদও পাঠ করে শোনান।

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ছিলেন তেহরানের ইউনেসকোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান স্ফেতান স্ফেতকভোস্কি। তিনি এ বছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তির জন্য বহুভাষা’ শীর্ষক ইউনেসকোর প্রতিপাদ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলো সংরক্ষণের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ ছাড়া দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মইন, ইরানপ্রবাসী সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুমিত আল রশিদ প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আযম সরকার গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান এবং শহীদদের আত্মদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের ওপর তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি