ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আজ রোববার ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করেছে।

আজ রোববার ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম রাত ১২টা ১ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। তাঁকে অনুসরণ করে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং অতিথিরা
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় নেতাদের বাণী পাঠ অনুষ্ঠানে সহিদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভাষার জন্য জীবন দেওয়ার মাধ্যমে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা পরবর্তী সময়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। সারা বিশ্বে এখন ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এদিন সব ভাষার প্রতি সম্মান জানানো হচ্ছে।

ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করেছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের মিনিস্টার (ইকোনমিক) মো. মেহেদী হাসান, ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম মঈনুল হাসান, মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) দেওয়ান আলী আশরাফ এবং মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান যথাক্রমে বাণীগুলো পাঠ করেন।

প্রথম সচিব এবং দূতালয় প্রধান মো. মাহমুদুল ইসলাম দিবসের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সবশেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।