গ্রিসে প্রথমবারের মতো জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস উদযাপিত

এথেন্সের বাংলাদেশ দুতাবাসে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রদূত
ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স

এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয়েছে জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘নাগরিক অধিকার করতে সুরক্ষণ, ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন’।  বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গ্রিসের স্থানীয় আইন অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে দূতাবাসের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান।  দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ। এ সময় দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করা হয়। এরপর জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস উপলক্ষে নির্মিত তথ্যবহুল ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার কর্মকর্তা এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে জন্মনিবন্ধন করার পুরো প্রক্রিয়াটি উপস্থাপন করেন।  
আলোচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে উল্লিখিত নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধন সনদ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য সঠিক তথ্য-পরিসংখ্যান প্রয়োজন, যা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ডেটাবেজ থেকে সংগ্রহ করা যায়।’  রাষ্ট্রদূত জন্ম ও মৃত্যুর দ্রুত নিবন্ধনের ওপর গুরুত্বারোপ করে সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করে সরকারি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এথেন্স দূতাবাসে চলমান অতি সহজে ওয়ানস্টপ পদ্ধতিতে জন্ম নিবন্ধনসহ সব ধরনের সেবা প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। উপস্থিত প্রবাসী নাগরিকেরা দিবসটি আয়োজনের জন্য দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান।
দূতাবাসের কাউন্সেলর সুজন দেবনাথের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কাউন্সেলর মো. খালেদ এবং কাউন্সেলর (শ্রম) ড. সৈয়দা ফারহানা নূর চৌধুরী।
তথ্য: বাংলাদেশ দূতাবাস, এথেন্স, গ্রিস