টিকা–বাণিজ্যে স্বচ্ছতার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলামের সম্মানে একটি ভার্চ্যুয়াল টাউনহল আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটিতে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিক এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা আজ বুধবার অংশ নেন। উবার, শেভরন, জেনারেল ইলেকট্রিক, মেটলাইফ, অ্যাবট, বোয়িং, পেপসিকো, গুগল, ফেসবুকের প্রতিনিধিরা ছিলেন আলোচনা সভায়। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি নিশা বিসওয়াল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রাধিকার এবং কীভাবে বেসরকারি খাত দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে ভূমিকা রাখতে পারে, তা তুলে ধরেন। তিনি কোভিড-১৯ মহামারি দ্বারা সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশের পণ্য, বিশেষত তৈরি পোশাকের ওপর কর হ্রাসের বিবেচনা করার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার উদ্দেশে মার্কিন সরকার এবং বেসরকারি খাত উভয়ের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টিকা অনুদানের প্রশংসা করার পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত মত দেন যে বাণিজ্যিকভাবে টিকা ক্রয় বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশের টিকাদান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে। তিনি মার্কিন টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে টিকা রপ্তানির অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি এবং এ ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে, বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশের সুযোগ নিতে রাষ্ট্রদূত মার্কিন বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের আইটি পেশাদারদের জন্য এইচ১বি ভিসাপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য মার্কিন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বোয়িংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বকে সুসংহত করতে বেসামরিক বিমান চলাচলে দুই সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ঢাকা ও নিউইয়র্কের মধ্যে পুনরায় সরাসরি বিমান চালু করতে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন এবং বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিজ্ঞপ্তি