বাহরাইনে ৭ মার্চ পালিত

৭ মার্চ উপলক্ষে বাহরাইন দূতাবাসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় গত রোববার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দূতাবাস বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শুরুতেই জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন দূতাবাসের অনুবাদক মোহাম্মদ আসরাফ। এরপরে রাষ্ট্রদূত দূতালয়প্রধান মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ও শ্রম কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে  জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয় বাহরাইনে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গসংগঠনের নেতাদের। দূতাবাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীগুলো পড়ে শোনান দূতালয়প্রধান ও কাউন্সেলর মো. রবিউল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (শ্রম) শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

বাহরাইন দূতাবাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ৭ মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বিশেষ দিন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র ভাষণ যার মাধ্যমে একটি জাতির স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধুর এই ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের অমূল্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে তাদের ওয়ার্ল্ড মেমোরি রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করে স্বীকৃতি দিয়েছে।

দূতাবাসের এ আয়োজনের শেষ পর্যায়ে বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পরিবারের সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।