মুম্বাইয়ে উদ্‌যাপিত হলো ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’–এর অনুষ্ঠান শুরু হয় ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনারের নেতৃত্বে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়েছবি: দূতাবাসের সৌজন্যে

ভারতের মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে গতকাল সোমবার বিকেলে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদ্‌যাপন করা হলো। মহারাষ্ট্র সরকারের কোভিড–১৯–সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ মেনে মুম্বাই মিশন সীমিত আকারে দিবসটি পালন করেছে। অনুষ্ঠানটির সূচনা হয় ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনারের নেতৃত্বে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার জাকির আহমেদ বক্তব্য দেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে জাতির জনকের জীবনদর্শন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও অপরিসীম আত্মত্যাগের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদায় ‘জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উদ্‌যাপন করা হয়েছে
ছবি: দূতাবাসের সৌজন্যে

জাকির আহমেদ বলেন, ১৯৭২ সালের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল। ভারপ্রাপ্ত উপহাইকমিশনার জাতির জনকের আদর্শকে অনুসরণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবার একযোগে কাজ করার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেন। সবশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের এবং ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপহাইকমিশনের সদস্যরা অনলাইনে সরাসরি সংযুক্ত হন।