মুসা মিয়া ও তাঁর ভালোবাসার কুলিয়ারচর

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সঙ্গে মুসা মিয়া।
ছবি: সংগৃহীত

আজ কুলিয়ারচরের জন্য একটি শোকতম দিন। কারণ, কুলিয়ারচর হারিয়েছে তার সবচেয়ে প্রিয়তম মানুষটিকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর কুলিয়ারচর জনপদে প্রথম যে জাগরণ, সে হোক শিক্ষায়, খেলাধুলায় কিংবা সংস্কৃতি অথবা ধর্ম থেকে রাজনীতি, প্রতিটি অঙ্গনেই যে মানুষটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান ছিল, তাঁর নাম মুসা মিয়া।

ছিলেন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, কিন্তু কুলিয়ারচরে শুধুই তাঁর পরিচয় অবিস্মরণীয় এক সমাজসেবক হিসেবে। আজ তিনি আর নেই। গতকাল শনিবার ইন্তেকাল করেছেন।

তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী—শোকবাণী দিয়েছেন। দেশ-বিদেশে বসবাসরত কুলিয়ারচর জনপদের মানুষসহ বাংলাদেশের বৃহৎ ব্যবসায়ী মহল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি শোক প্রকাশ করছেন। গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর জন্য শোক থামছে কুলিয়ারচরের মানুষের। তাঁকে হারিয়ে আহাজারি করছে কুলিয়ারচর।

কুলিয়ারচরে ‘এমডি সাব’ অথবা ‘সিআইপি সাহেব’ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি নামেই সম্বোধন করা হতো তাঁকে। আমরা তাঁর প্রতিবেশী, বাড়ির পাশে বাড়ি। খুব ছোটকাল থেকে তাঁকে দেখা। পরিবারের মতোই ভাইজান বলে ডাকতাম। তিনি দেখতে ছিলেন সুদর্শন রাজপুত্রের মতো। তাঁর ভিন্ন চলন-বৈশিষ্ট্য মুগ্ধ করত আমাদের। ছোটকাল থেকেই তাঁর উত্থান, তাঁর প্রতিটি গৌরব, তাঁর প্রতিটি সফলতা আমরাও উপভোগ করেছি কাছের মানুষ হিসেবে।

তাঁর ব্যবসায়িক সফলতার কারণে একাধিকবার পেয়েছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (সিআইপি) মর্যাদা। মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হলেও পরে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত করেন নতুন অনেক ক্ষেত্রে। কুলিয়ারচর কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড থেকে কুলিয়ারচর ফ্যাশন অ্যাপারেলস, তারপর সার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। তারপর কুলিয়ারচর কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর সোয়েটার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কুলিয়ারচর প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কুলিয়ারচর সি ফুডস (কক্সবাজার) লিমিটেডসহ অনেক প্রতিষ্ঠান।

তাঁদের বাড়িটি কুলিয়ারচর বাজারের একদম শেষ প্রান্তে। তাঁর বাড়ির সামনেই বহমান কুলিয়ারচরের কালী নদী। তারপর বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা। ওই জায়গাটি তখন বর্ষাকালে যেমন জলটলমল, তেমনি শুষ্ক মৌসুমে নদীচর, জোছনা–জোনাক, বালু চিকচিক প্রান্তর। সেখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা এবং সেটাই ছিল তাঁর আজন্ম–স্মৃতিঘর। আমরা যখন অনেক ছোট, তখনই তিনি কুলিয়ারচর ছেড়েছেন, কিন্তু কখনো মনে হয়নি তিনি কুলিয়ারচরে নেই। স্মৃতির আল ধরে একটু এগোলেই ঠিক দেখতে পাই তাঁর আনন্দ-বেদনার যাত্রাপথ।

আমার স্মৃতিতে খুবই ঝাপসা, যতটুকু মনে আছে, কম বয়সেই মা হারিয়েছিলেন মুসা মিয়া। ডাক্তার যখন মাতৃবিয়োগের সংবাদ তাঁকে দেন, পাগলপ্রায় হয়ে তিনি বাঁশ নিয়ে উদ্যত হয়েছিলেন ডাক্তারকে মারতে। তিনি মানতে পারেননি তাঁর মা মারা গেছেন। খুব কাছের মানুষেরাই জানতেন, মাকে হারানোর শোক জীবনভর বহন করেছেন তিনি।

একসময় চট্টগ্রামে চলে যান। ধীরে ধীরে যুক্ত হন মৎস্য ব্যবসার সঙ্গে। তবে কুলিয়ারচরে যেমন দাপিয়ে বেরিয়েছেন, চট্টগ্রামেও সেই রাজকীয় ব্যাপার ধরে রেখেছিলেন ভীষণ পরিশ্রমী মানুষটি। কাছ থেকে তাঁকে প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম তাঁর বড় বোন নাজমা আপার বিয়ের সময়। কুলিয়ারচরে তখনো বিদ্যুৎ আসেনি। ব্যাটারি দিয়ে বিয়ের গেট নির্মাণে তাঁর ছোট ভাই রুবেল ভাইয়ের সঙ্গে সহযোগী থাকার সময়।

তারপরে আবার একটি আকর্ষণীয় স্মৃতি প্রায়ই মনে হয়। সত্তর দশকের শেষ দিকের কথা। সেভাবে ঢাকা কিংবা অন্য জায়গা থেকে কুলিয়ারচরে গাড়ি চালিয়ে আসার মতো সড়ক তখনো তৈরি হয় নি। তারপরেও এ রাস্তা দিয়েই তিনি খয়েরি রঙের একটি সেজান গাড়ি নিয়ে কুলিয়ারচর এসেছিলেন। তারপর অনেক পরে তখন তিনি প্রতিষ্ঠিত, নব্বই দশকের প্রথম দিক হবে। ঢাকায় তখন টেলিফোন ডিজিটাল হচ্ছে। সংযোগ পাওয়া দুষ্প্রাপ্য। কিন্তু তিনি সেই দুষ্প্রাপ্য টেলিফোন সংযোগ নিলেন কুলিয়ারচরে।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থেকে কুলিয়ারচর। অনেক ব্যয়বহুল ছিল এ ব্যবস্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণ করা। কিন্তু তারপরও ডিজিটাল টেলিফোন এনেছিলেন কুলিয়ারচরে। যদিও এই টেলিফোন তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এনেছিলেন, কিন্তু অনেকেই তাৎক্ষণিক ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন তখন। তিনি ছিলেন কুলিয়ারচরের ব্র্যান্ডিংয়ে বিশ্বাসী। তিনি কুলিয়রচরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকেও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তাঁর হাতেই প্রথম গিটার দেখি আশি দশকের গোড়ার দিকে।

সেই সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আবদুল জব্বারের সঙ্গে তাঁর সখ্য ছিল। পরবর্তী সময়ে কুলিয়ারচরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে উজ্জীবিত করতে তিনি দেশের অনেক খ্যাতনামা মানুষকে কুলিয়ারচর নিয়ে এসেছেন। তিনি যেখানেই থাকতেন, যা-ই করতেন, সবকিছুতে একটা কুলিয়ারচর-কুলিয়ারচর ব্যাপার কাজ করত। তাঁর আবেগ, ভালোবাসা আর স্বপ্নের একটা বড় অংশজুড়েই ছিল কুলিয়ারচর। তাঁর গড়া শুরু থেকে শেষ প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেরই নাম ছিল কুলিয়ারচরের নামে, যা শেষ পর্যন্ত কুলিয়ারচর গ্রুপে পরিণত হয়।

মনে পড়ে, নব্বই দশকে আমরা কুলিয়রচরের কয়েকজন বন্ধু পড়াশোনা করতে আসি ঢাকার নটর ডেম কলেজে। তখন ঢাকাকেও প্রবাস মনে হতো। তবে সেই প্রবাসজীবনে কুলিয়ারচর গ্রুপের অফিসকে মনে হতো ঢাকার মধ্যে এক টুকরো কুলিয়ারচর। সেখানে কুলিয়ারচরের কিছু মানুষ চাকরি করতেন। খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে অনেক সুবিধায় পাওয়া যেত মালিকপক্ষের মতোই।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে মুসা মিয়া।
ছবি: সংগৃহীত

আমার বাস এখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। এখনো যখন কাউকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ কিংবা জাগুয়ারর মতো নামীদামি গাড়ির নতুন নতুন সংস্করণ কিনতে দেখি, তখন আমার ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে। সেই সাদাকালো টেলিভিশনের যুগে আমরা দেখেছি মুসা মিয়াকে বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে বেড়াতে। মানুষ হিসেবে তিনি প্রচণ্ড শৌখিন ছিলেন। গাড়িই হোক কিংবা বাংলাদেশে নতুন সেরা কিছু এলে সেটা দ্রুত কুলিয়ারচর নিয়ে আসতেন মুসা মিয়া। তাই কুলিয়ারচরের আকাশে তাঁর ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার ঘুরত হরহামেশাই। মানুষটি ৬৩ বছর বয়সে চলে গেলেন। মনে হচ্ছে, এই তো সেদিন সবে শুরু করলেন। মানুষটির চলে যাওয়া কুলিয়ারচর, তথা বাংলাদেশের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।

মুসা ভাইকে নিয়ে যে স্মৃতি আমার সবচেয়ে বেশি আলোড়িত করে, আমি যখন কুলিয়ারচর থেকে পড়াশোনা করতে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসি, বিষয়টি অনেকেই জানত না। সে সময় সিডনির অলিম্পিক ২০০০–এ ভলেন্টিয়ার হিসেবে কাজ করার কারণে একুশে টেলিভিশনের জন্য একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান। সেই সাক্ষাৎকার মুসা ভাই দেখেছিলেন এবং আমাকে অস্ট্রেলিয়ায় ফোন করে বলেছিলেন, ‘তুই অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিস কেন, তোরা চলে গেলে কুলিয়ারচরের কী হবে।’ এর অনেক বছর পর তিনি একবার অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে আসেন। ঘুরতে এলেও খুবই ব্যস্ত ছিলেন মানুষটি। অনেককেই সময় দিতে পারেননি, কিন্তু আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন এবং বাসায় আসার আমন্ত্রণও খুব সাগ্রহে পরিবার-বন্ধুবান্ধব নিয়েই রক্ষা করেছেন।

২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও মুসা ভাই অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন বর্তমান ভৈরব-কুলিয়ারচরের সাংসদ ও ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে। ক্যানবেরায় বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের খেলা চলার সময়ে হঠাৎ দেখা মুসা ভাইয়ের সঙ্গে। আমাকে অবাক করে তিনি বলেন, ‘তুই ক্যানবেরায় এসেছিস, চল কাল ব্রিজবেনে একসঙ্গে বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচটা দেখব।’ পরদিন বৃষ্টির কারণে খেলা স্থগিত হলেও দেখা থেমে থাকেনি। আমি ব্রিজবেনে গিয়েছিলাম। তিনি প্রায় সারা দিন সময় দিয়েছিলেন।

মুসা ভাই, মানুষটি এতই সফল ছিলেন, যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই ভালো করেছেন। অনেক জায়গায় গেছেন, পৃথিবীর অনেক কিছু দেখেছেন, কিন্তু কুলিয়ারচরের মোহ আর ভালোবাসাতে কোনো দিন কমতি হয়নি তাঁর। বলব, কুলিয়ারচর ছাড়া মানুষটি অন্যকিছু ভাবতেও পারেননি। নির্দ্বিধায় বলা যায়, আজকের এই কুলিয়ারচরে এমন কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নেই, যেখানে তাঁর অনুদান-অবদান, ছোঁয়া-ভূমিকা নেই। কুলিয়ারচরের উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি ছিলেন উদারহস্ত।

তিনি দান করে গেছেন মানুষের চাওয়া থেকে বেশি। পোশাক আর চেহারায় যেমন সুদর্শন ছিলেন মানুষটি, ছিলেন তেমনই আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তাঁর দানের মহৎ গুণটি অনেকের জন্যই অনুকরণীয়। তাঁর যে মোট সম্পদ, তা হয়তো বাংলাদেশের অনেক শিল্পপতিরই আছে। কিন্তু তাঁর দান করার যে ক্ষমতা, তা অনেককেই ছাড়িয়ে যায়।

মুসা ভাইয়ের রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। তিনি কোনো দিন সরাসরি রাজনীতি করতে আসেননি, এ কথা যেমন ঠিক, আবার এ–ও সত্য, ভৈরব-কুলিয়ারচরের রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় রেখেছেন অনেক ভূমিকা। মনে পড়ে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে যখন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সে সময় নির্বাচনী প্রচারণায় বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেন মুসা ভাই।

পরিবারের সঙ্গে মুসা মিয়া।
ছবি: সংগৃহীত

জয় লাভও করেছিলেন জিল্লুর রহমান। মুসা মিয়ার প্রতি জিল্লুর রহমানের কৃতজ্ঞতা তাঁর বিভিন্ন ভাষণেই ফুটে ওঠে। পরবর্তী ২০০৮ সালের নির্বাচনেও মুসা ভাই একই ভূমিকা রাখেন জিল্লুর রহমানের নির্বাচনে। তখন জিল্লুর রহমান সংসদ সদস্য হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়ে যান। তাঁর ভৈরব-কুলিয়ারচর আসনে উপনির্বাচনে মুসা ভাইকে মনোনীত করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। জিল্লুর রহমানের ছেলে হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় তখন কুলিয়ারচরবাসীর একটা চাপা ক্ষোভ থাকলেও মুসা ভাই তা কখনো প্রকাশ করেননি। কিন্তু বোঝা যেত, এটাতে তিনি কষ্ট পেয়েছেন।

সম্ভবত ২০০০ সালে বাণিজ্যিক রপ্তানি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল মুসা ভাইকে। সেই আনন্দ উদ্‌যাপনে কুলিয়ারচরবাসী এক গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। কাকতালীয়ভাবে সে অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ছিলাম আমি। তখন কয়েক মাইল রাস্তা ধরে মানুষের ঢল নেমেছিল। পুরো কুলিয়ারচর সেজেছিল তার রাজপুরুষকে স্বাগত জানাতে। মনে হয়, এত বড় সংবর্ধনা কুলিয়ারচরে কেউ পাননি এর আগে এবং পরে। এত মানুষের ভিড়ে তিনি এসেছিলেন, নিজের আবেগ তুলে ধরেছিলেন। এখনো কানে বাজে, অনেক কথার মধ্যে বলেছিলেন, ‘আমি মরে যাওয়ার পর আমার সবকিছু আমি কুলিয়ারচরের জন্য রেখে যাব, আমার সবকিছু কুলিয়ারচরের মানুষের জন্য।’

আজ তিনি আবার কুলিয়ারচরে আসবেন। আবার মানুষের ঢল নামবে কুলিয়ারচরে। কিন্তু এবার ফিরবেন তিনি নিথর দেহে। তারপর কুলিয়রাচরের মানুষের ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন কুলিয়ারচরের মাটিতেই । কোনো দিন আর কুলিয়ারচরকে ভালোবাসতে পারবেন না, কিন্তু বিশ্বাস করি, কুলিয়ারচরের মানুষ তাঁকে ভালোবাসবে চিরদিন।