লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশিদের ওপর হামলায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা

লস অ্যাঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা। ছবি: প্রথম আলো
লস অ্যাঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা। ছবি: প্রথম আলো

লস অ্যাঞ্জেলেসে সম্প্রতি বাংলাদেশিদের ওপর আততায়ীর হামলা বেড়ে যাওয়া উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। বাংলাদেশি সাধারণ অভিবাসী থেকে শুরু করে কনস্যুলেটকেও ভাবিয়ে তুলেছে বিষয়টি। ফলে এ নিয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে নিজ দেশের অভিবাসী কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট। গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) লস অ্যাঞ্জেলেসের কনসাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা এ মতবিনিময় করেন। 


সর্বশেষ ১৭ জানুয়ারি শেভরন গ্যাস স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রবাসী মিজানুর রহমান।

সভায় প্রিয়তোষ সাহা বলেন, ‘প্রবাসীরা আমাদের সম্পদ। তাঁরা বিদেশে শ্রম দিয়ে দেশের রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু প্রবাসে, বিশেষ করে আমেরিকায় শিক্ষা ও জীবিকার জন্য দেশ থেকে প্রবাসীরা এসে প্রথমাবস্থায় অডজব (মানানসই নয় এমন কাজ) হিসেবে রাতের শিফটে কাজ করেন। অনেক সময় দেখা যায়, রাতে কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে। ইদানীং দেখা গেছে, ওই সব সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের প্রবাসীরাই বেশি শিকার হচ্ছেন।’
এ সময় কমিউনিটির নেতারাও কনসাল জেনারেলকে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে নানাবিধ পরামর্শ দেন। তাঁরা কনসাল জেনারেলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার জন্য ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট গভর্নরের কাছে আবেদনের কথা জানান। যাতে রাতে কর্মরত ব্যক্তিদের নিরাপত্তার দিতে মালিকদের প্রতি কড়া নির্দেশনা থাকে—সেটিকে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। বিশেষ করে রাত ১০টার পর সব ধরনের বেচাকেনা বুলেট প্রুফ পার্টিশন ও জানালা দিয়ে করার বাধ্যবাধকতা যাতে নির্দেশনায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করার কথা বলেন কমিউনিটি নেতারা।
কনস্যুলেট জেনারেল কমিউনিটির নেতাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, বিষয়টি লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি মেয়রের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি গভর্নরকেও জানানো হবে।
মতবিনিময় সভায় কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তি ছাড়াও ডেপুটি কনসাল জেনারেল এবং দূতাবাসের প্রধান কাজী আনার কলি উপস্থিত ছিলেন।

*কাজী মশহুরুল হুদা, লস অ্যাঞ্জেলেস (যুক্তরাষ্ট্র)