সব অভিবাসীকে টিকা দেবে পর্তুগাল

সব বিদেশি নাগরিককে দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোভিড–১৯–এর টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পর্তুগাল সরকার। প্রথম প্রক্রিয়া হলো, যেসব অনিয়মিত অভিবাসী ১৫ অক্টোবর ২০২০–এর পূর্বে ইমিগ্রেশন বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) এন্ট্রি করেছেন, তাঁদের নিয়মিত অধিবাসীদের মতোই সুযোগ–সুবিধা দিচ্ছে পর্তুগাল সরকার। নতুন করে যাঁরা আবার ১৬ অক্টোবর ২০২০ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত এসইএফে নথি লিপিবদ্ধ করেছেন, তাঁরাও বৈধ অধিবাসীদের মতো সব ধরনের সুযোগ–সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা করেছে পর্তুগাল সরকার। ফলে পর্তুগালে বসবাসকারী অবৈধ ব্যক্তিদের টিকা পেতে আর কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকছে না।

দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটি হলো, সব অভিবাসীর টিকা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট করা হয়েছে। ওয়েবসাইটটিতে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়া শুধু নাম, ঠিকানা, যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর এবং জাতীয়তার তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সফলভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পাদন করা যাবে। তথ্যটি পর্তুগাল সংসদে মন্ত্রী মারিয়ানা ভিয়েনা দা সিলভা নিশ্চিত করেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী সেবাটি নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে চার হাজারের বেশি মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অন্তনিও ভিটোরিনা বলেন, রাষ্ট্রগুলোর উচিত তাদের সীমানার মধ্যে থাকা সব উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের টিকাকরণ এবং জনস্বাস্থ্য বিবেচনার ভিত্তিতে টিকার যোগ্যতা নিশ্চিত করা, জাতীয়তার ওপর ভিত্তি করে নয়।

পর্তুগালে প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে সরকার, যেখানে ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৯৪৮ জনকে ১ম ডোজ এবং ৬১ হাজার ১০৮ জনকে সম্পূর্ণ ডোজ দেওয়া হয়েছে।

চলতি মাসে দেশটির সরকার আশা করছে, টিকা প্রয়োগের কার্যক্রম আরও গতিশীলতা পাবে। দৈনিক এক লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গ্রীষ্মের শুরুতে বা মধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করছে পর্তুগাল সরকার।

লেখক: মনির হোসেন, পর্তুগাল