সাইপ্রাস ম্যারাথন জয় করল শিব শংকর

সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোশিয়ার ম্যারাথনে অংশ নেন শিব শংকর পালছবি: সংগৃহীত

২৭ বছর ধরে তিনি দৌড়াচ্ছেন, সঙ্গে আছে সব সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। বিশ্বের প্রায় সব বড় আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। জার্মানির মিউনিখপ্রবাসী সেই শিব শংকর পাল এবার জয় করলেন সাইপ্রাস ম্যারাথন।

গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপদেশ গ্রিক সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়াতে এ আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে যোগ দিয়ে শিব শংকর তাঁর ১১৪তম ম্যারাথন শেষ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই বছর ধরে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক ম্যারাথন প্রতিযোগিতাগুলো বন্ধ থাকার পর নিকোসিয়ার এ আন্তর্জাতিক ম্যারাথন অংশ নিতে তিনি মিউনিখ থেকে নিকোসিয়া ছুটে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, জীবনে পরম প্রাপ্তি বলে যদি কিছু থাকে, তবে আজকের দিনটি আমার জীবনের পরম প্রাপ্তির দিন, স্মরণীয় দিন। কঠোর শ্রম আর জীবনের ঝুঁকির মধ্য দিয়ে এ দ্বীপদেশে শেষ হলো আমার ১১৪তম ম্যারাথন। তিন বছর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে নিউইয়র্কে তাঁর শততম ম্যারাথন সম্পন্ন করেন।

ঢাকার দোহার নবাবগঞ্জের অধিবাসী শিব শংকর পাল বলেন, ‘আমি সমতলের মানুষ, তবে ইউরোপে আসার পর থেকে পাহাড় দেখে পাহাড়ের প্রতি একটা অন্য রকম টান অনুভব করলাম। তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল পাহাড় বা সমতল সর্বত্রই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করার। তাই অদম্য সাহস আর মনোবল নিয়ে তাঁর স্বপ্নপূরণের আশায় তিনি মিউনিখেই প্রস্তুতি অনুশীলন শুরু করেন। প্রতিদিনই কাজের শেষে তিনি ১৫-২০ কিলোমিটার পথ দৌড়ান। ছুটির দিনগুলোতেও তিনি কঠোরভাবে অনুশীলন করতেন এবং ঢালু উঁচু-নিচু জায়গায় অনুশীলন করেন।

ম্যারাথনে শিব শংকর পাল
ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির মিউনিখে শিব শংকর পালের একটি ইলেকট্রনিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসাসফল শিব শংকর পাল ২০১৭ সালে মিউনিথ সিটি করপোরেশনে সফল অভিবাসী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন।

শিব শংকর পাল বলেন, তিনি সব সময় বুকের মধ্য বাংলাদেশকে লালন করেন। আর ম্যারাথনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে চান। তাই নিউইয়র্ক, হনুলুলু, ভিয়েনা, দুবাই, নেপাল, সাইপ্রাস পৃথিবীর যে প্রান্তেই ম্যারাথন করেন, শেষ টাচ মার্কের কাছে এসে যত্নের সঙ্গে রাখা বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকাটি দুই হাতে মেলে ধরেন। আর দেশপ্রেমের এক অতুলনীয় অনুভূতি তাঁর ভেতর কাজ করে।