সুইজারল্যান্ডে নারীদের ভোটদানের ৫০তম বার্ষিকী
যে বছর বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি পালন করতে যাচ্ছে, সে বছর সুইজারল্যান্ডের মহিলারা তাঁদের ভোটদানের অধিকার অর্জনের ৫০ বছর পূর্তি করছেন। গতকাল রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১) সুইজারল্যান্ডে দেশব্যাপী মহিলাদের ভোটদানের অধিকারের ৫০তম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ড ইউরোপের সর্বশেষ দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে ৭০–এর দশকে দেশজুড়ে গণভোটে সুইস পুরুষেরা মহিলাদের ভোটাধিকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
১৯৫৭ সালে মহিলাদের জন্য বাধ্যতামূলক নাগরিক প্রতিরক্ষা পরিষেবার বিষয়ে একটি জাতীয় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে মহিলাদের ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আনটারবাচ সুইজারল্যান্ডের ভ্যালে ক্যান্টনের রডন জেলার একটি পৌরসভার ৮৬ জন নারীর মধ্যে ৩৩ জন নারী প্রথম ভোটদানের মতো সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যাঁদের ভোট কখনো গণনা করা হয়নি। তার ১৪ বছর পর নারীদের সুইজারল্যান্ডে ফেডারেল পর্যায়ে ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। সুইজারল্যান্ডের ইতিহাসে ক্যাথারিনা জেনহুসরেনের নাম রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি দেশটির প্রথম নারী ভোটার।
আনটারবেচের প্রতিটি মানুষ ১৯৫৭ সালের মার্চের ঐতিহাসিক ঘটনার তাৎপর্য জানেন। গ্রামের লোকেরা এখনো জানেন যেকোনো মহিলারা সেদিন তাঁদের ভোট দিয়েছিলেন। এমনকি অবশেষে যখন সুইজারল্যান্ড মহিলাদের জাতীয় পর্যায়ে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেয়, তখনো এর ফেডারেল ব্যবস্থা অ্যাপেনজেল ইনারহোডেনের রক্ষণশীল ক্যান্টনকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আঞ্চলিক ভোটে নারীদের অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখে। একাত্তরের ফেব্রুয়ারিতে গণভোটের পর সুইজারল্যান্ডের মহিলারা ফেডারেল নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেন। প্রথম যে ফেডারেল ভোটে সুইস মহিলারা অংশ নিতে পেরেছিলেন, তা ছিল ফেডারেল পার্লামেন্টে ৩১ অক্টোবর, ১৯৭১–এর নির্বাচনে।
এ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উপলক্ষটির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সুইসমিন্ট ৫০ সুইস ফ্র্যাঁ মূল্যমানের একটি সোনার মুদ্রা বের করেছে।