নতুন বছর উদ্যাপনে জমকালো অনুষ্ঠান

অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা
অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তরা

‘ইটস অ্যামেজিং। আমি সত্যি ভাবিনি। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। পুরস্কার যেকোনো কাজের অনুপ্রেরণা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়।’—কথাটা বলেন খন্দকার আবদুল্লাহ। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) তিনিই প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা, ক্যাপ্টেন পদে অভিষিক্ত হলেন। এনওয়াইপিডি ক্যাপ্টেন খন্দকার আবদুল্লাহসহ আটজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
মূলধারার তিন সংগঠনের যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানের উপলক্ষ নতুন বছর উদ্‌যাপন হলেও, বাস্তব আয়োজন ছিল অত্যন্ত ব্যাপক। নিউইয়র্ক স্টেটের একাধিক সিনেটর ও কংগ্রেসম্যান অংশ নেন এই অনুষ্ঠানে। নিউ আমেরিকার ডেমোক্র্যাট ক্লাব, নিউ আমেরিকান উইমেন ফোরাম ও নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম যৌথভাবে ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত অবধি জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
নিউইয়র্ক স্টেটের এত সংখ্যক কাউন্সিলম্যানের উপস্থিতি নিকট সময়ে দেখা যায়নি। কে না ছিলেন সেখানে? গ্রেস মেঙ, ইয়েভেট ক্লার্ক, জর্জ মিকসের মতো কংগ্রেসম্যান, কুইন্স বোরোর প্রেসিডেন্ট মেলিন্দা কাটজ, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর লিরয় কমরে, জন লু, নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিওম্যান কাটালিনা ক্রুজ, তিন কাউন্সিলম্যান ব্যারি গ্রোডেনচিক, রিচার্ড ডোনোভান ও মাইকেল ব্লেক। সিটি অফিসিয়ালদের ডেপুটিরাও ছিলেন অনুষ্ঠানে।
এনওয়াইপিডি অফিসার ক্যাপ্টেন খন্দকার আবদুল্লাহের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। ‘আউটস্ট্যান্ডিং এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পান তিনি। এর বাইরেও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। এন্টারপ্রেনিউর অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পান রায়হান জামান। বছরের সেরা কমিউনিটি কর্মীর পুরস্কার পান কাজী হোসেন নয়ন। ‘ওম্যান লিডার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতেন জেনিফার রাজকুমার। বছরের সেরা আইটি কনসাল্টিং ও ট্রেনিং কোম্পানি নির্বাচিত হয় টেকফিওস। ফিজিশিয়ান অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পান ড. নুরুন নাহার ইউসুফ। পপ স্টার অব দ্য ইয়ার হন রাহমি খান। ইয়ুথ লিডার অব ইয়ার হন ড. কাফুই কোয়াকু।
১৯৯৬ সালে মোরশেদ আলম প্রতিষ্ঠা করেন নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাট ক্লাব। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় নিউ আমেরিকান উইমেন্স ফোরাম অব এনওয়াই এবং নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম অব এনওয়াই। নিউ আমেরিকান ডেমোক্র্যাট ক্লাব সভাপতি হিসেবে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন মোরশেদ আলম। ইউমেন ফোরামের সভাপতি বর্তমানে রুবাইয়া রহমান। ইয়ুথ ফোরামের প্রধানের দায়িত্বে আছেন আহনাফ আলম। তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
উদিসা ও পলের যৌথ পরিবেশনায় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আমেরিকার জাতীয় সংগীত গেয়ে শোনায় আট বছর বয়সী গুঞ্জরী সাহা। এরপর ছিল শ্রী চিন্ময় পিচ ফাউন্ডেশনের পরিবেশনা। তারপর ছিল ডালিয়া চৌধুরীর পরিবেশনায় স্বরলিপি’র দলীয় পরিবেশনা। অংশ নেন উদীপ্ত চৌধুরী, বর্ষা দেবনাথ ও ভূমিকা দে। এরপরে পপ স্টার রাহমি খান গান শোনান।