ইস

ইস! 

আমি যদি একবার বলার স্বাধীনতা পেতাম!
যদি একবার, শুধু একবার
খুব কাছ থেকে দু’চোখ ভরে
আমার করে তোমায় আমি দেখতে পেতাম!
যদি একবার, শুধু একবার
কবিতা লেখা তোমার হাতের
একটুখানি ছোঁয়া পেতাম!
যদি একবার, শুধু একবার
তোমার লেখা সব কবিতার
আদর মাখা ‘তুমি’ হতাম!
ইস! তাহলে একটা জীবন
তোমার স্বপ্নে লেপ্টে থেকে কাটিয়ে দিতাম।

ইস!
যদি আমি তোমার গায়ের
গন্ধ কেমন জানতে পেতাম
যদি একবার শুধু একবার
তোমার কানে মুখটি গুঁজে
বুকের মাঝে নিত্য বাজা
শব্দটা একবার তোমায় বলতে পেতাম!
পৃথিবী ভাসানো ভরা পূর্ণিমায়
তোমায় নিয়ে শান্ত শীতল লেকের জলে
নৌকা চড়ে ঘুরতে পেতাম!

ইস! একবার শুধু একবার
তোমার কাঁধে মাথা রেখে
লং ড্রাইভে ভীষণ বেগে ঘুরতে পেতাম!
ইস! তাহলে তোমার মনের আকাশ জুড়ে
ভালোবাসার ফানুস হয়ে উড়ে যেতাম!

ইস!
যদি একবার, শুধু একবার
নিজ হাতে রান্না করে
তোমায় আমি তৃপ্তি ভরে খাওয়াতে পারতাম!
একবার, শুধু একবার আমার লেখা আবেগ ভরা
কাঁচা হাতের কবিতা গুলো
তোমায় আমি পাশে বসিয়ে
খুব গোপনে শোনাতে পারতাম।
কদম ফুল হাতে নিয়ে দুজনে বৃষ্টিতে
রিকশায় করে ভিজতে পারতাম!
যদি একবার, শুধু একবার
আমি তোমার
আড্ডাতে বসে আড্ডা দিতে পারতাম!
শুভ্র সাদা বেলির মালা
তোমার জন্য আমার খোঁপায় পরতে পারতাম!
একুশের বইমেলার মূল সড়কে
তোমার হাত ধরে হাটতে পারতাম,
কোনো কফি শপে একবার বসে
দুজনে কফি খেতে পারতাম!
কফি না হয় যদি মোড়ের টং দোকানে
এক কাপ চাও খেতে পারতাম।
একবার যদি আমি তোমার ভাবনা হতে পারতাম!

ইস!একবার যদি একবার
তোমার ছায়াতে আমার ছায়ার
স্পর্শ করাতে পারতাম!
ইস! একবার শুধু একবার তোমাকে আমি
অন্যের দাবি ছাড়া আমার বলতে পারতাম!

ইস!
তাহলে হয়তো আমি
তোমার কবিতার স্বপ্ন আঁকা
আরাধ্য সেই মানবী হতাম।