নিউইয়র্ক বইমেলা ও প্রজন্মের সম্পৃক্তি

চলতি বছর নিউইয়র্কের ‘মুক্তধারা বইমেলা ও বাংলা উৎসব’-এর ২৮ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এবারের বইমেলার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. নজরুল ইসলাম।
এই দীর্ঘ সময় পেরিয়ে বইমেলা নিয়ে অনেক কথাই আজ মনে পড়ছে। মনে পড়ছে, আমরা যারা এই অভিবাসী দেশে নোঙর ফেলেছিলাম, তাদের চোখে-মুখে একটি স্বপ্ন ছিল। ছিল, এই প্রজন্মের হাতে একটি আলোর মশাল তুলে দেওয়ার প্রত্যয়। সেই মশাল জ্ঞানের, সেই মশাল আমাদের মৌলিক চেতনার। কাজটি কঠিন ছিল। তারপরও এগিয়ে এসেছিলেন এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। বাঙালির চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারার সম্মিলিত উদ্যোগ আমাদের শাণিত করেছিল।
১৯৯২ সালে নিউইয়র্কে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের পর বাংলা বইমেলা শুরু হয়। যদিও এর আগে বিচ্ছিন্নভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহৎ কলেবরে সেবারই ছিল প্রথম। এরপর ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সামনে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে পুষ্পার্পণের মধ্য দিয়ে একুশের প্রথম প্রহর পালন করে বাঙালির চেতনা মঞ্চ ও মুক্তধারা। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রতি বছরই সেটি পালিত হয়ে আসছে। এই প্রজন্মের হাতে স্পর্শের প্রজ্বালন পৌঁছে দিচ্ছি আমরা, যারা চাই আমাদের উত্তর-প্রজন্ম যেন শিকড়ের সন্ধান ভুলে না যায়।
বই মানুষকে জানায় অতীত, জানায় ভবিষ্যৎ। বই মানুষকে গড়ে তোলে একজন মহান মানুষ হিসেবে। কোনো কোনো বই আছে বারবার পড়া যায়; পড়ে নিতে হয়। একটি গ্রন্থপাঠের দশ বছর পর সে গ্রন্থপাঠের অভিজ্ঞতা বদলে যেতে পারে পাঠকের। বইটিকে দশ বছর আগে যে চোখে বিশ্লেষণ করেছিলেন পাঠক, এক দশক পর সে অভিজ্ঞতায় সংযোজন-বিয়োজন দুটোই ঘটতে পারে। পাঠাভিজ্ঞতা নিয়ে পাঠক যখন বইটি নতুন করে খুলে বসেন, তখন তাঁর কাছে তার অনেক কিছুই নতুন মনে হতে পারে। পাঠকের এই যে অভিজ্ঞতা, তা-ই একটি সাহিত্যকে পরিপূর্ণতা দান করে। প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে যখন আমেরিকায় আসি, পাঠক হিসেবে আমার একটি প্রশ্ন ছিল মনে, সুদূর আমেরিকায় বাংলা বই, পত্র-পত্রিকা কোথায় পাব? কীভাবে পাব? একসময় ছিল, যখন ডাকযোগে বাংলাদেশ থেকে দৈনিকের সাহিত্য পাতাগুলো আনিয়ে পড়তাম নিয়মিত। সমকালীন সাহিত্যের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না রাখতে পারলে যেকোনো পাঠক কালের গহ্বরে হারিয়ে যান, যেতে বাধ্য হন। তার কারণ হচ্ছে এই, সাহিত্য কারও জন্য অপেক্ষায় না থেকে নিজ গতিতেই এগিয়ে চলে। পাঠককে সাহিত্যের সঙ্গেই হেঁটে যেতে হয়। চোখ মেলে দেখে নিতে হয়, কখন কোন নতুন লেখক এসে স্থান দখল করে নিয়েছে।
একজন পাঠক হিসেবে বলতে পারি, সে তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে এসেছিল ‘মুক্তধারা’। এই ‘মুক্তধারা’ কি যুক্তরাষ্ট্রে বৃহত্তম বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়াতে চেয়েছিল? সে প্রশ্নের উত্তর আমি একটু বিশদভাবে খুঁজে দেখতে পারি। ‘মুক্তধারা’ ও ‘বাঙালির চেতনা মঞ্চ’ নামে দুটি সংস্থা ও সংগঠনের উদ্যোগে বইমেলা শুরু হয় নিউইয়র্কে ১৯৯২ সালে। ‘বাঙালির চেতনা মঞ্চ’ ছিল মূলত এক ঝাঁক শাণিত তরুণের সাংস্কৃতিক ফোরাম। প্রকাশ্যে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা ও লালন করার প্রত্যয় নিয়েই জন্ম নেয় এই সংগঠনটি। মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনও শুরু হয় এই দুই সংগঠনের উদ্যোগে। নিজ কাঁধে বইয়ের বাক্স বহন করে ফিরে বইমেলা জমাবার প্রত্যয় ছিল মুক্তধারার কর্ণধার বিশ্বজিত সাহার। আমি দেখেছি, চোখে-মুখে একটিই স্বপ্ন তাঁর—প্রবাসে পরিশুদ্ধ পাঠক শ্রেণি গড়ে উঠবে। আমি এখনো ভাবি, এক সময়ের সাংবাদিক বিশ্বজিত সাহা তো প্রবাসে এসে অন্য পেশাও গ্রহণ করতে পারতেন। তিনি তা করেননি কেন? করেননি এ জন্য, বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন প্রবাসী বাঙালির কাছে। প্রশ্নটির উত্তর আমি এখন পেয়ে যাই খুব সহজে, যখন দেখি জ্যাকসন হাইটসের সুপরিসর ‘মুক্তধারা’ গ্রন্থকেন্দ্রে বসে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা ড. হুমায়ুন আজাদ, হ‌ুমায়ূন আহমেদ, আনিসুল হক, হাসান আজিজুল হক, সমরেশ মজুমদার, পবিত্র সরকার তাঁদের বইয়ে পাঠককে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, দিয়েছেন।
এই যে আজকের বইমেলা, কেমন ছিল তার অতীত! আমার মনে হয় আজকের পাঠকের তা জানা প্রয়োজন। নিউইয়র্কে ১৯৯২ সালে প্রথম বইমেলাটির উদ্বোধক ছিলেন ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত। ১৯৯৩ সালে কবি শহীদ কাদরী মেলা উদ্বোধন করেন। ১৯৯৪ সালে ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, ১৯৯৫ সালে পুরবী বসু, ১৯৯৬ সালে আবদুল গাফফার চৌধুরী, ১৯৯৭ সালে হ‌ুমায়ূন আহমেদ, ১৯৯৮ সালে সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, ১৯৯৯ সালে দিলারা হাশেম, ২০০০ সালে ভাষা সৈনিক আবদুল মতিন, ২০০১ সালে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বইমেলা উদ্বোধন করেন।
২০০১ সালে দশম বইমেলার বর্ণিল আয়োজনে একযোগে এসেছিলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, হ‌ুমায়ূন আহমেদ ও ইমদাদুল হক মিলন। ২০০২ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন ড. হুমায়ুন আজাদ। ২০০৩ সালে কবি জয় গোস্বামী আসেন উদ্বোধক হিসেবে। মুক্তধারার উদ্যোগে ২০০৪ সালে দুটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ওই বছর নিউইয়র্কর বইমেলা উদ্বোধন করেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও লস অ্যাঞ্জেলেসে রাবেয়া খাতুন। ২০০৫ সালের বইমেলার উদ্বোধক ছিলেন ড. আবদুন নূর। ২০০৬ সালে পঞ্চদশ বইমেলা উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। আমেরিকায় নতুন আঙ্গিকে বইমেলা শুরু হয় ২০০৭ সাল থেকে। বই বিপণী মুক্তধারার সহযোগী সংগঠন মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বইমেলা রূপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসবে। এই উৎসবের অংশ হিসেবে চারটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ সালে। নিউইয়র্কে ড. গোলাম মুরশিদ, ডালাসে ড. আনিসুজ্জামান, লস অ্যাঞ্জেলেসে সমরেশ মজুমদার ও নিউজার্সিতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এসব বইমেলা উদ্বোধন করেন।
২০০৮ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন কবি রফিক আজাদ। ২০০৯ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন হাসান আজিজুল হক। ২০১০ সালের উদ্বোধক ছিলেন কবি সৈয়দ শামসুল হক। ২০১১ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন তপন রায়চৌধুরী। ২০১২ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন শামসুজ্জামান খান। ২০১৩ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২০১৪ সালে বইমেলা উদ্বোধন করেন কবি মহাদেব সাহা। ২০১৫ সালে উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ২০১৬ সালের বইমেলা উদ্বোধন করেন প্রাজ্ঞ কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। ২০১৭ সালে পবিত্র সরকার এবং ২০১৮ সালে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
খুবই আনন্দের কথা, বিশ্বজিত সাহা ও মুক্তধারা আমাদের এই ২৮ বছরে এসব গুণীজনের সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। অভিবাসী প্রজন্মের হাতে লেগেছে এসব মহান মানুষের হাতের পরশ। আমেরিকায় বাংলা উৎসবের কলেবর বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। কারণ, তরুণ পাঠক-পাঠিকা আগ্রহী হয়ে উঠছে গ্রন্থপাঠে। মনে পড়ছে ‘বাঙালির চেতনা মঞ্চের’ দুজন সংস্কৃতি কর্মীর কথা; শামীম ও দিলওয়ার। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এই দুজনের স্মৃতি ও বেদনা এখনো বহন করে চলেছেন আমেরিকার অভিবাসী বাঙালি সমাজ। তাঁরা দুজন একটি পরিশুদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ায় দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিলেন।
গান, নাটক, বইপত্র, লিটলম্যাগ, দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রিকাসহ শিল্পকলার সব অনুশীলন ক্ষেত্রই সহযোগী হয়ে এগিয়ে দেয় একটি সমাজকে। বইমেলা মানুষের মিলন ঘটায়। সমন্বয় সাধন করে চর্চার। আমেরিকায় আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব সেই চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে চলেছে।
নিউইয়র্ক বইমেলার ২৮ বছর পূর্তিতে এসে বলা যায়, আমাদের অর্জন কিন্তু কম নয়। ২০১৬ সালে নিউইয়র্ক বইমেলায় মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। ওই বছর এই পুরস্কার পান কবি নির্মলেন্দু গুণ। ২০১৭ সালে এই পুরস্কার পান বিশিষ্ট ফোকলোর বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামান খান। ২০১৮ সালে পুরস্কারের নামকরণ করা হয় ‘মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’ যার মূল্যমান দুই হাজার ডলার। একই বছর এ পুরস্কার পান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। ২০১৮ সালেই প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত হয় ‘মুক্তধারা-কথাপ্রকাশ চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরস্কার’। ঢাকার প্রকাশনা সংস্থা কথাপ্রকাশের অর্থানুকূল্যে প্রতিষ্ঠিত এই পুরস্কারের প্রথম বিজয়ী হয় ঢাকার ইত্যাদি প্রকাশনী। এর মূল্যমান ৫০ হাজার বাংলাদেশি টাকা। নিউইয়র্ক বইমেলার পরিসর দিনে দিনে বাড়ছে। ২৭তম বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে আসা প্রকাশকদের প্রস্তাবে ২৮তম বইমেলা একদিন বাড়ানো হয়েছে বলে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এবারের বইমেলার আরেকটি নতুন সংযোজন হবে ২০১৯ সালে অভিবাসী লেখকদের প্রকাশিত ‘সেরা বাংলা বই’ পুরস্কার। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্যমান ৫০০ ডলার। বাংলাদেশ ও ভারতের বাইরে অবস্থানরত যেকোনো লেখক এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন।
এটা খুবই আশার কথা যে, বইমেলায় নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ছে। প্রায় এক দশক ধরে এই প্রজন্মের নতুন লেখক, যারা ইংরেজিতে লেখালেখি করেন, তাঁদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হচ্ছে মেলায়। আমার মনে হয়, এখন সময় এসেছে, যেসব আমেরিকান-বাঙালি লেখক উত্তর আমেরিকায় ইংরেজি ভাষায় লেখালেখি করেন, তাঁদের সম্মান ও অনুপ্রেরণা জোগানার। একই সঙ্গে বইমেলাকে উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও তৎপরতা বাড়ানোর সময়ও এসেছে এখন। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বড় বড় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এই বইমেলার স্পনসর হতে পারে। তারা নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যে সম্মিলিতভাবে গ্রীষ্মকালে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনকে আহ্বান করে সাপ্তাহিক ছুটিতে বইমেলার আয়োজন করতে পারে। এ বিষয়ে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন। আমি বিশ্বাস করি, প্রজন্মের জন্য বিশ্বায়নের যে দরজা এখন উন্মুক্ত হয়েছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে প্রত্যয়ের সঙ্গে। ভাষার শক্তি মানুষকে প্রকাশিত হওয়ার সুযোগ এনে দেয়। ভাষার মধ্যেই মানুষ খুঁজে পায় নিজস্ব পরিমণ্ডল।
আমার মনে আছে, বিদেশে যে লাখ লাখ বাঙালি প্রজন্ম বেড়ে উঠছে, তাদের ‘সুন্দরতম ভূমি বাংলাদেশ’কে বিশদভাবে জানাতে এগিয়ে এসেছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক কৃতী পুরুষ বিশিষ্ট সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও কবি ড. হুমায়ুন আজাদ। তিনি লিখেছিলেন, একটি চমৎকার গ্রন্থ ‘মাই বিউটিফুল বাংলাদেশ’। শিশু কিশোর-কিশোরীদের পঠন উপযোগী এই গ্রন্থ প্রকাশ করেছিল নিউইয়র্কভিত্তিক প্রকাশনা-বিপণন সংস্থা ‘মুক্তধারা’। বইটি ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার অনেক বাংলা স্কুলে পঠিত হচ্ছে। অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের হাতে তুলে দিয়েছেন এ বই। আমেরিকায় ‘আন্তর্জাতিক বাংলা উৎসব ও বইমেলা’ আমাদেরকে সেই জাগরণী আবহ তৈরি করে দিয়েছে, তা অবশ্যই একটি উজ্জ্বল অর্জন।
আমরা যারা পরবাসে বাঙালিত্ব ধরে রাখার কথা বলছি, তাদের কথায় ও কাজে মিল দেখাতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই তা সম্ভব। বই পড়া, বইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা মানুষের মননকে পরিশুদ্ধ করে। আমরা কথাটি যতই মনে রাখব, ততই প্রবাসে শক্তিশালী হবে আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্প, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সভ্যতা। আলোকিত হবে আমাদের প্রজন্ম।