কানাডার টরন্টোয় কমিউনিটির কাজে বিশেষ অবদানের জন্য পেস-আরএমএম উইমেন অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডলি বেগম ও শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত গীতা মূর্তি। গত সোমবার (১ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় কবি আসাদ চৌধুরীর হাত থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করলেন কানাডীয় এই দুই নারী।
টরন্টোর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগ্রেসিভ অ্যাকশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্টের (পেস) কানাডা দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানে আলবার্ট ক্যাম্পবেল লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ডলি বেগমই উত্তর আমেরিকায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণ রাজনীতিবিদ, যিনি ওন্টারিও প্রাদেশিক সংসদে সরাসরি নির্বাচিত একজন সদস্য। গীতা মূর্তি সাউথ এশিয়ান অটিজম অ্যাওয়ারনেস সেন্টারের (এসএএএসি) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক।
বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজে ভালো বিষয়গুলো আয়ত্ত ও চর্চার আহ্বান জানিয়ে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, ‘কানাডার বহুজাতিক সংস্কৃতি ও সহনশীলতার পরিবেশ আমাদের, বিশেষ করে নারীদের তাঁদের শক্তি, সদিচ্ছা ও সামর্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। এমন উদ্যোগকে আমি প্রশংসা করি।’ উইমেন অ্যাচিভার্স পুরস্কারের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডলি বেগম বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটিকে শক্তিশালী করতে হলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় প্রত্যেকের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের পরামর্শ ও মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। আপনাদের কথা বলবার জন্যই আমি সংসদে যাই।’
গীতা মূর্তি তাঁর প্রতিষ্ঠানের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘১০ বছর আগে আমরা বাসার বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে পাঁচটি পরিবারকে নিয়ে শুরু করেছিলাম আমাদের যাত্রা। আজ আমাদের নিজস্ব অফিসে আমরা ৩০০ পরিবারকে সেবা দিতে পারছি। আর আমাদের সঙ্গে ১৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।’
পেসের নির্বাহী পরিচালক ইমামুল হক বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতেই আমরা এই সম্মাননা পুরস্কারের প্রবর্তন করেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অর্জনকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই সম্মাননা পুরস্কারের লক্ষ্য।’
পেসের আয়োজনে কানাডা ডে উদ্যাপন উপলক্ষে ‘কালার অব জয়’ নামের এই অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে আদিবাসী শিল্পীসহ বহুজাতিক শিল্পীদের পরিবেশনা উপস্থিত অতিথিদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। কানাডীয় সরকারের আর্থিক অনুদানে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।