বাংলাভাষীদের সংকট কেন?

ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে বাংলা ভাষাভাষীদের আঙিনা। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ছাড়াও বিহারের কিছু অংশে বাংলা ভাষাসংস্কৃতির প্রচলন ছিল। যৎসামান্য ছিল মিয়ানমারের আরাকানে। বাংলার বিভাজন বাংলা ভাষাসংস্কৃতিকে নিদারুণ সংকটে ফেলেছে। একসময় কলকাতা ছিল বাংলা ভাষার প্রাণকেন্দ্র। বিভাজনের ধাক্কায় প্রাণকেন্দ্রের প্রাণ ভোমরার প্রাণ যায়যায়। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাংলা ভাষাসংস্কৃতি হত মৃতপ্রায়। গোবলয়/হিন্দি বলয়ের আগ্রাসনে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বাংলার ত্রাহি মধুসূদন। আসামে আগে থেকে বাংলা অবহেলিত। ভারতে বাঙালিরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত। এবার এনআরসির খাঁড়ায় ভীতসন্ত্রস্ত। আরাকানে রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত। কিন্তু এসবের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান কি?
রোহিঙ্গা ও এনআরসির সমস্যাকে আমরা কেবল ধর্মের চশমা দিয়ে দেখতে ভালোবাসি। এটি সমীচীন নয়। ধর্ম উপমহাদেশে কেবল বিয়োজন বা বিভাজন উপহার দিয়েছে। তাই ধর্মের বর্মে এসব সমস্যার সমাধান প্রায় অসম্ভব। এ সমস্যাকে ভাষাসংস্কৃতির আলোয় দেখা বাঞ্ছনীয়। বাংলা ভাষাভাষী রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মূলস্রোত থেকে অনেক দূরে, আসামে বাঙালিরা তদ্রূপ, ত্রিপুরাতে খুব একটা ব্যতিক্রম নয়, কেবল পশ্চিমবঙ্গে এখনো বাঙালি মাথা উঁচু করে আছে। তবে সেটা আর কত দিন থাকবে, সে বিষয়ে সন্দেহ জাগা অবান্তর নয়। বায়ান্নতে পূর্ববঙ্গের ভাষাসংস্কৃতির ওপর কায়েদে আজম জিন্নাহ যেমন খড়গহস্ত হয়েছিল, অনেকটা তেমন করছে ভারতের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী। ভিন্নতা কেবল ধরনে। ভৌগোলিক ও নৃতাত্ত্বিক সুবিধার কারণে ৫২-তে আমরা প্রতিবাদী হলেও আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে তেমনটি হওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও সংস্কার নিয়ে তুলকালাম ঘটলেও এর প্রচার, প্রসার, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে যৎসামান্য। বাংলায় সম্প্রদান কারক নিয়ে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে মতদ্বৈততা ছিল। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লার মতে সকল কর্ম সম্প্রদানের উদ্দেশ্য থাকে। তাই স্বত্ব ত্যাগের বিষয় অনুপস্থিত। সৎ পাত্রে কন্যা দাও বা ভিখারিকে ভিক্ষা দাও—দুটির কোনটি সম্প্রদান কারক কি? কন্যার সুখে থাকা বা ভিক্ষা দিয়ে পুণ্য লাভের আশায় যদি কর্ম সম্পাদিত হয়, তবে স্বত্ব ত্যাগের প্রশ্ন আসে না। সে অর্থে সম্প্রদান কারক আর রইল কই? কিন্তু বাংলা ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক আছে। তাতে বাঙালির কী লাভ হয়েছে, তা তর্ক সাপেক্ষ।
কয়েকদিন আগে বিশ্বভারতীর কলা ভবনে শিক্ষার্থীদের রবীন্দ্র সংগীত বিকৃতির সমালোচনায় বাঙালির বিদ্বৎ সমাজ উচ্চকিত। আবার সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি আর বাড়ী লেখা নিয়েও সমালোচনার অন্ত ছিল না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ স্বীয় কর্মগুণে সেসব অতিক্রম করেছেন। বাড়ি বা বাড়ী লিখাতে বাংলা ভাষার কিঞ্চিৎ শ্রীহানি হলেও রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষার শ্রীবৃদ্ধি করেছেন অনেকখানি। আসলে তর্কে আমরা পটু হলেও কর্মে নিতান্তই ঘেঁটু। কোমরে গামছা বেঁধে ভাইয়ে-ভাইয়ে বিবাদে জড়ানো বাঙালির চিরায়ত অভ্যাস। কিন্তু অন্যরা যে টিকি, দাঁড়ি ও নেংটি ধরে টান মেরেছে, সে বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ নেই।
সংস্কৃতি মানুষের মেলবন্ধের অন্যতম উপকরণ। ভাবপ্রকাশ ব্যতীত ভালোবাসা হয় না। আর ভাবপ্রকাশের বাহন কিন্তু ভাষাসংস্কৃতি। তাই বাঙালিরা যুগ যুগ ধরে ভারতের সঙ্গে থেকেও আপন হতে পারেনি। পাকিস্তানের সঙ্গে থাকলে আমাদের তথৈবচ অবস্থা হতো। ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের স্বাধীনতার উন্মেষ ঘটেছিল। দুঃখের বিষয়, স্বাধীনতার পর ভাষাসংস্কৃতিকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কোন আঙ্গিকে ব্যবহার করতে পারিনি। ভাষা দিয়ে যে বাণিজ্য করা যায়, তা দেখার জন্য দিল্লি-লাহোর যাওয়ার দরকার নেই। ইংরেজি ভাষা (IELTS/TOEFL)–সহ আরও বিভিন্ন আঙ্গিকে ব্যবসা করছে। হিন্দি গান ও সিনেমা দিয়ে ব্যবসা করছে ভারত। গোটা মধ্যপ্রাচ্য এমনকি চীনের বাজার দখল করেছে ভারতীয় সিনেমা। অথচ আমরা সাহিত্য ও সংস্কৃতি দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের বাজার পর্যন্ত দখল করতে পারিনি।
ইংরেজির পর লন্ডনে জনপ্রিয় ভাষা বাংলা, এমন অর্ধসত্য তথ্যসূত্রে গর্বে আমাদের বুকের ছাতি ফুলে হাতি। তবে কি ব্রিটিশরা বাংলা শিখছে? সত্য হলো, বাঙালিরা ব্রিটেনে এসে ঘাঁটি গেড়েছে। ব্রিটিশরা আমাদের ইংরেজি ছবক দেওয়ার জন্য কলকাতায় ফোর্টউইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিল। বিশ্বের সবখানে ব্রিটিশ হাইকমিশন/অ্যাম্বাসির সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিল/কালচারাল সেন্টার রয়েছে। জার্মানরা তাদের ভাষাসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারের জন্য বিশ্বব্যাপী গ্যাটে ইনস্টিটিউট করেছে। ফরাসিরা করেছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ। রুশদের ক্ষেত্রেও তেমনটি দেখা যায়। খোদ বাংলাদেশে রয়েছে রুশ কালচারাল সেন্টার।
আমাদের হাইকমিশন/অ্যাম্বাসিগুলোতে তেমন উদ্যোগ খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। অনেকে হয়তো বলবেন, কাঙালের বাঙাল ভাষা বিদেশিরা শিখবে কোন দুঃখে! ভিনদেশিরা নাইবা শিখল, কিন্তু প্রবাসে বহুধা বিভক্ত বাঙালিকে একসূত্রে গাঁথার মূলমন্ত্র ভাষাসংস্কৃতি। তাই বিদেশে ভাষাসংস্কৃতি চর্চার পৃষ্ঠপোষকতা করার দায়িত্ব দূতাবাসগুলোর। একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রায় ১০ বছরে আমাদের অর্জন কি? আমরা এর কি সুবিধা নিতে পেরেছি বা কী কী সুবিধা নেওয়ার সুযোগ আছে, সে বিষয় আমরা ভাবছি কি? বাংলা বিশ্বের সপ্তম ভাষা। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বাংলায় কথা বলে, যাদের বেশির ভাগ বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মিয়ানমারের আরাকানে বসবাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের একমাত্র বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দেশ।
ভারতে হিন্দি বলয়ের রাজনৈতিক চাপে বাংলার প্রাণ ওষ্ঠাগত। মিয়ানমার বাংলা ভাষাভাষীদের নাগরিক বলে স্বীকার করে না। বাংলা ভাষাভাষীদের প্রায় অর্ধেক অবহেলিত ও ক্ষয়িষ্ণু। তাদের জাগিয়ে তোলার ও টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বাংলাদেশের। বাংলাদেশ কি সে দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পারছে? পারলে আজকের রোহিঙ্গা সমস্যা বা ভারতের নাগরিকপঞ্জির মত সমস্যার উদ্ভব হতো না।
বাংলাকে আমরা দুলাইন ম্যাড়মেড়ে প্রেমের কবিতা বা কয়েকছত্র গদ্য লেখার মাঝে সীমাবদ্ধ করে রেখেছি। ভাষাসংস্কৃতি মেধা ও মননের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাণিজ্যিক উপকরণও বটে, যা বোঝার বোধ-বুদ্ধির উন্মেষ ঘটেনি। ইংরেজি ভাষার বই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আমাদের দেশেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বই ইংরেজিতে লেখা। মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার বই অবারিত নয়। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু বলেছিলেন, ‘বাংলায় যে বিজ্ঞান চর্চা করতে পারে না, সে হয় বাংলা বোঝে না, নয় বিজ্ঞান বোঝে না।’ সাহিত্যে বিজ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ‘বিশ্বপরিচয়’ বইটি লেখেন। এরপর আর কেউ সে মুখো হয়নি। সাহিত্য–সংস্কৃতি শিক্ষাদীক্ষায় আমরা এতটা পিছিয়ে যে, আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিকতা হারিয়েছে। দুঃখের বিষয়, বাংলা ভাষাভাষীদের বাজারটা পর্যন্ত আমরা ধরতে পারিনি। আরাকান, আসাম ও ত্রিপুরা থেকে বিদ্যার্থীরা আমাদের দেশে আসার কথা, কিন্তু আসছে কি? তারা কি আমাদের আস্থায় নিতে পেরেছে বা আমরা কি আস্থায় নেওয়ার মত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পেরেছি। বাংলা ভাষাভাষী রোহিঙ্গারা মেধায় মননে পিছিয়ে পড়ায় তারা জাতিগত নিধনের শিকার। নৃতাত্ত্বিক ও ভাষা সাংস্কৃতিক দিক থেকে আমরা তাদের কাছাকাছি হওয়ার কারণে তার দুর্দিনে বাংলাদেশকে নিরাপদ আশ্রয় ভেবেছে। আমরাও মানবিক বিবেচনায় তাদের সে সুযোগ দিয়েছি। এ ক্ষেত্রে অনেকে ধর্মটাকে বড় করে দেখেন। কিন্তু, ধর্ম একমাত্র উপকরণ নয়, ভাষাসংস্কৃতি অন্যতম কারণ। আমরা যদি আরও আগে থেকে রোহিঙ্গাদের মেধায় মননে বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারতাম, আজ উভয়ের এমন দুর্দশায় পড়তে হতো না।
ভাষা সংস্কৃতির নৈকট্যকে কাজে লাগিয়ে আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও আরাকানের বাজারে প্রবেশ করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। অথচ আমরা কিনা ভারতে গিয়ে টাকার শ্রাদ্ধ করে আসি। অথচ ভারতের বাংলা ভাষাভাষী রাজ্যগুলোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে তাদেরকে আমাদের প্রভাব বলয়ে রেখে বাণিজ্যিক সুবিধা নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ বিষয় আমাদের ভাবনা আছে কি? মনে রাখতে হবে ভাষাসংস্কৃতি হলো মিথস্ক্রিয়ার অন্যতম মাধ্যম। মুসলমানেরা ভারতে এসে তাদের ভাষাসংস্কৃতি আমাদের মগজে-মননে প্রবেশ করিয়ে আমাদের মুসলমান বানিয়েছে। ব্রিটিশ, ওলন্দাজ, পর্তুগিজরা ভারতে এসেছিল ও তাদের ভাষা সংস্কৃতি ও ধর্মে আমাদের দীক্ষিত করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমরা গ্রহণ না করায় বা তারা সক্ষম না হওয়ায় তাদের বিদায় নিতে হয়েছে।
পাকিস্তানিরা প্রথম আঘাত হেনেছিল আমাদের ভাষাসংস্কৃতিতে। চীন উইঘুর মুসলমানদের মগজ ধোলাই করছে তাদের ভাষাসংস্কৃতির মাধ্যমে। এমনকি ভারত হিন্দিবলয়ের প্রভাব বিস্তার করে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষিণ ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে। ৩০ কোটি মানুষের ভাষা বাংলায় ১৯১৩ সালে নোবেল পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, অথচ প্রায় ৯০ বছর পরে আমরা হিন্দি শিখি, ডরিমন দেখি, বাংলা ভাষাভাষীদের অধঃপতন দেখি। ৪২ কোটি মানুষের ভাষা হিন্দি ৩০ কোটি বাংলাভাষীর ওপর খবরদারি করতে পারে না। আমরা লক্ষ্যহীন হওয়ার কারণে তারা জেঁকে বসছে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র সংগীত বিকৃতির প্রতিবাদ করলেও হিন্দি বলয়ের চাপে বাংলার দফারফা নিয়ে রা করেন না পশ্চিমবঙ্গের বিদ্বৎ সমাজ। বাঙালি সংরক্ষণবাদী হয়ে অনাবাদি থাকবে, তথাপি ভাষাসংস্কৃতির প্রচার, প্রসার ও বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক ব্যবহার করবে না, এ তার ধনুভাঙা পণ।
বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা ও মিয়ানমারের আরাকান নিয়ে বাংলাবলয় সৃষ্টি করে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে বিকশিত হওয়ার দ্বার উন্মুক্ত করা সময়ের দাবি। বাংলাবলয় সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমানে সৃষ্ট নাগরিকপঞ্জি ও রোহিঙ্গা সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান যেমন সম্ভব, নিকট ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা উদ্ভবের সম্ভাবনা কমিয়ে আনাও সম্ভব। সমন্বিত সমাজব্যবস্থায় স্বীয় ভাষাসংস্কৃতির মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন রচনা করে বাংলাদেশকে বাংলাবলয়ের নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে। তাতেই কেবল এতদ্বৎ অঞ্চলের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, একুশের প্রভাতফেরি আর বাংলা একাডেমির একুশের বইমেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবীদের বাংলা ভাষার বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা বলয়ের জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও মননের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। ২০২০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির থিম হোক, বাংলাবলয়ে বাংলা ভাষাসংস্কৃতির বহুমাত্রিক ব্যবহার।