স্বপ্নভঙ্গের বইমেলা

আফজাল হোসেন ঢাকা শহরে একটি স্বনামধন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে কোনো রকমে তৈরি হয়ে সকাল ৯টার মধ্যে অফিসে যান, আবার রাত ৯টার মধ্যে বাসায় ফেরেন। অফিসে যাওয়া ও আসার মধ্যে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে আটকে এক ঘণ্টার পথে তিন ঘণ্টা চলে যায়। তিনি এই বৃত্তের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেন। এর বাইরে কোথাও সময় দেওয়ার মতো সময় তাঁর ছিল না। বিয়ের আগে অফিস ছুটির পর বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টাখানেক আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরতেন। কিন্তু বিয়ের পর বাসা, আর অফিস। ছুটির দিনে ঘুমিয়ে ও বাজার সদাই করে এবং পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে তাঁর দিন কেটে যায়। বলতে হয় আফজাল সাহেবের নাগরিক জীবন এমনই নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। নিজেকে আধুনিক ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে অফিসের কলিগ ও বন্ধুদের অনুরোধে তিনি নিজের একটি ফেসবুক আইডি চালু করেন। প্রথম দিকে তেমন একটা সময় দিতেন না। মাস ছয়েক পর তিনি ফেসবুকে বেশ সক্রিয় হলেন। অফিস থেকে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে বিছানায় শুয়ে ফেসবুকে ঘণ্টাখানেক সময় দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল। ক্রমেই তিনি ফেসবুকের প্রতি ঝুঁকে গেলেন। এখন তিনি অফিসে, গাড়িতে বসে ফেসবুকে নিয়মিত সময় দেন। ঘণ্টা দুয়েক সময় ফেসবুকে না ঢুকলে তাঁর মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে তিনি এতে অনেকটাই আসক্ত বলা যায়।

ফেসবুক আসক্তির পেছনে তাঁর কিছু যুক্তিও ছিল। ফেসবুকে সক্রিয় হওয়ার পর থেকে খেয়াল করলেন, তিনি বিভিন্ন ধরনের শতাধিক গ্রুপ পেজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কীভাবে যুক্ত হলেন, সেটা তিনি নিজেও জানেন না। যা হোক, বিভিন্ন গ্রুপ পেজে অনেক ধরনের চমকপ্রদ পোস্ট দেখে তিনি সেগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তেন। কিছু সাহিত্য গ্রুপে বিভিন্ন লেখকের লেখালেখি দেখে তাঁর শখ হলো, তিনিও টুকিটাকি লেখালেখি করবেন। তারপর থেকে তিনি মনের আবেগ ও অনুভূতিগুলো ছন্দ মিলিয়ে কিছু লিখে ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করতেন। প্রথম দিকে আফজাল সাহেবের পরিচিত অনেকেই তাঁর কবিতার ঢঙে লেখালেখি দেখে অবাক হতেন, প্রশংসা করতেন। এতে দ্বিগুণ অনুপ্রাণিত হয়ে লেখালেখির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিলেন। প্রতিদিন রাতে কিছু না কিছু লিখে নিজের টাইমলাইনে পোস্ট করে তিনি ঘুমিয়ে যেতেন। সকালে অফিসে গিয়ে সারা দিন চেক করতেন, কে কে লাইক দিয়েছেন এবং কে কী কমেন্টস করেছেন। কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি খেয়াল করলেন, তাঁর লেখালেখিতে পরিচিতজনদের আগ্রহ কম। আগেকার মতো লাইক ও কমেন্টস পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, বিভিন্ন সাহিত্য গ্রুপে নিজের লেখাগুলো পোস্ট দেবেন।

যেই ভাবনা, সেই কাজ। বিভিন্ন সাহিত্যবান্ধব গ্রুপে তাঁর লেখা কবিতা নিয়মিতভাবে পোস্ট দেওয়া শুরু হলো। গ্রুপগুলোর অ্যাডমিন ও মডারেটরদের লাইক ও কমেন্টস পেতে শুরু করলেন। প্রায় সবাই সাদামাটা একই রকম কমেন্টস করতেন। কিন্তু একজন লোক তাঁর কবিতার বেশ উচ্চ প্রশংসা করতেন। ওই ব্যক্তি একদিন তাঁর ইনবক্সে নক করে বেশ সময় কথা বললেন। আফজাল সাহেবের কবিতার বেশ প্রশংসা করলেন। আফজাল সাহেবকে তিনি শক্তিমান কবি হিসেবে সম্বোধন করতেন। এতে আফজাল সাহেবের বুকটা গর্বে উঁচু হয়ে উঠত। কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে বেশ সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ওই ব্যক্তির নাম ছিল কবির রায়হান। তিনিও লেখালেখির সঙ্গে জড়িত এবং বিভিন্ন সাহিত্য অনুষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াত করেন। কবির রায়হানের অনুরোধে তাঁর সঙ্গে আফজাল সাহেব ছুটির দিনে দু-তিনটা সাহিত্য প্রোগ্রামেও গিয়েছিলেন। কবির রায়হান বিভিন্ন লেখকের সঙ্গে আফজাল সাহেবকে একজন শক্তিমান কবি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতেন। আফজাল সাহেব এতে তাঁর ভীষণ অনুরক্ত হয়ে উঠলেন। তবে মাঝেমধ্যে তিনি বিব্রত বোধ করছিলেন, যখন কেউ কেউ প্রশ্ন করত, প্রকাশিত বই সম্পর্কে। তখন অবশ্য কবির রায়হান বলে দিতেন, আগামী বইমেলায় তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ হবে। আফজাল সাহেব একদিন আরও বেশি বিব্রত হয়ে কবির রায়হানকে বলেছিলেন, ‘আমি কী সব ছাইপাঁশ কবিতা লিখি, আর কীভাবে যে বই প্রকাশ করতে হয়, এসবের কিছুই আমি জানি না।’ কবির রায়হান জানালেন, ‘এসব নিয়ে আপনার চিন্তা করতে হবে না। আমি একজন প্রকাশক, আমার প্রকাশনীর নাম—আজকাল। আমি আপনার বই প্রকাশ করব। আপনি একজন শক্তিমান কবি কিন্তু নিজের একটা বই না থাকলে কিসের লেখক আর কিসের কবি, কোনো ইজ্জত থাকে নাকি? আগামী বইমেলায় আপনার বই প্রকাশ হবে, এটাই ফাইনাল। আপনি ফেসবুকে কবিতা লিখে পোস্ট করে যান। সময়মতো আমি লেখা সংগ্রহ করে নেব।’

এদিকে আফজাল সাহেবের স্ত্রী মিলি তাঁর ওপরে বেশ বিরক্ত হয়ে উঠলেন। ফেসবুকে আফজাল সাহেবের অতিরিক্ত আসক্তির কারণে পরিবার থেকে অফিস—সবখানে বেশ সমস্যা হচ্ছে। তবুও আফজাল সাহেব থেমে নেই। তিনি ফেসবুকে দ্বিগুণ হারে সময় দিচ্ছেন এবং একের পর এক কবিতা পোস্ট করছেন। যখন ডিসেম্বর মাস এল, কবির রায়হান আবারও আফজাল সাহেবকে নক করলেন। আফজাল সাহেব জানালেন, তিনি প্রায় পঞ্চাশের মতো কবিতা লিখেছেন। কবির রায়হান বললেন, ‘আর দশ-বারোটা কবিতা লিখে ফেলুন ঝটপট, তাহলে চার ফর্মার একটি কাব্যগ্রন্থ হয়ে যাবে।’ আফজাল সাহেব অবাক বিস্ময়ে জানালেন, ‘ঝটপট দশ-বারোটা কবিতা লেখা কী সম্ভব?’ কবির রায়হান অনুপ্রেরণা দিয়ে বললেন, ‘আরে ভাই, আপনি হলেন একদম জাত কবি। আপনি চাইলে এক রাতের মধ্যে দশ-বারোটা কবিতা লিখে দিতে পারবেন।’

কবির রায়হানের কথায় আফজাল সাহেব গর্বিত সুরে জানালেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপনাকে লেখা জমা দেব। আপনি শুধু সুন্দরভাবে আমার বইটি প্রকাশ করবেন।’ কবির রায়হান সাহস দিয়ে জানালেন, ‘এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনার বই প্রকাশ করে দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক দিয়ে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করে দেব। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় আপনার ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে দেব। আপনি তখন রীতিমতো একজন পপুলার সেলিব্রিটি হয়ে যাবেন।’ আফজাল সাহেব কবির রায়হানের কথা শুনে মনে মনে তখনই একজন পপুলার সেলিব্রিটি হয়ে গেলেন।

আফজাল সাহেব কথামতো ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কবিতা লেখা শেষ করে কবির রায়হানকে জানালেন। কবির রায়হান তখন আফজালকে বললেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ আপনার টাইমলাইনে পোস্ট দেওয়া কবিতাগুলোর বানান ঠিক করে নিন। আমি আমার সুবিধামতো সময়ে সেখান থেকে কবিতা নিয়ে নেব।’

আফজাল সাহেব খুব মনোযোগ দিয়ে প্রতিটি কবিতার লাইন চেক করে বানান ঠিক করে আবারও কবির রায়হানকে জানালেন। এবার কবির রায়হান বললেন, ‘আপনার চার ফর্মার ৩০০ কপি বই প্রকাশ করতে ৩৫ হাজার টাকা খরচ পড়বে।’ আফজাল সাহেবের অনেক অনুরোধের পর কবির রায়হান নিজের লাভ বাদ দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দিতে বললেন। এর চেয়ে কম হলে তাঁর বিশাল অঙ্কের লস হয়ে যাবে বলেও জানালেন। এও বললেন, শুধুমাত্র আফজাল সাহেব পূর্বপরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলেই বিনা লাভে বই প্রকাশ করছেন।

কবির রায়হান কাজ শুরুর আগে আফজাল সাহেবকে অ্যাগ্রিমেন্ট সাইন মানি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিতে বললেন। আফজাল সাহেব ওই টাকা জমা দিয়ে কবির রায়হানের আজকাল প্রকাশনীর অ্যাগ্রিমেন্ট পেপারে সাইন করলেন। কাব্যগ্রন্থের নাম দিলেন ‘ফেসবুকে কবি ও কবিতা’। কিছুদিন পর কবির রায়হান বইয়ের একটি প্রচ্ছদ বানিয়ে আফজাল সাহেবের ইনবক্সে পাঠিয়ে দিলেন। আফজাল সাহেবের তখন আনন্দের আর সীমা নেই। তিনি তখন সুতো ছেঁড়া ঘুড়ির মতো আকাশে-বাতাসে ওড়াউড়ি করছিলেন। বইয়ের প্রচ্ছদ দিয়ে ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করে সবাইকে বই প্রকাশের আগাম সংবাদ জানিয়ে দিলেন। সবাই তখন কমেন্টস করে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করল। অনেকেই বইটি সংগ্রহের প্রতিশ্রুতিও দিল। তিনি তাঁর অফিসের সব কলিগ, বন্ধুবান্ধবসহ কাছে-দূরের সব আত্মীয়-স্বজনকে ফোন করে বই প্রকাশের আগাম সংবাদ জানালেন। সবাই বইটি সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি দিলেন।

জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে কবির রায়হান আবারও আফজাল সাহেবকে জানালেন, ‘আপনার বই ছাপা হয়ে গেছে এবং বাঁধাইয়ের কাজ চলছে।’ এখন তাঁকে আরও ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ও বই ডেলিভারির সময় বাকি ১০ হাজার টাকা। কবির রায়হানের কথামতো আফজাল সাহেব আরও ১০ হাজার টাকা দিলেন।

ফেব্রুয়ারি মাস চলে এল বলে। বাংলা একাডেমির বইমেলার আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। আফজাল সাহেব নব্য খ্যাতিমান কবি হিসেবে বইমেলায় ঘোরাঘুরি করার জন্য তিনটি পাঞ্জাবি কিনলেন। মনের আনন্দে আফজাল সাহেবের রাতে ঠিকমতো ঘুম আসে না। ঘুমালে দেখেন নানা রঙিন স্বপ্ন। স্বপ্নে দেখেন, শত শত পাঠক তাঁর অটোগ্রাফ নিয়ে বই সংগ্রহ করছেন। তিনি অটোগ্রাফ দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। আবার কখনো দেখেন, দেশবরেণ্য কবি নির্মলেন্দু গুণ ও আসাদ চৌধুরীর পাশে বসে তিনি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। এদিকে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা শুরু হয়ে গেছে কিন্তু কবির রায়হানের কোনো খবর নেই। আফজাল সাহেব ফোনে অনেক চেষ্টা করেও আজকাল প্রকাশনীর প্রকাশক কবির রায়হানকে পাচ্ছেন না। ইনবক্সে অনেক মেসেজ দিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। এদিকে বইমেলার প্রায় এক সপ্তাহ চলে গেছে। আফজাল সাহেবের আশা অনিঃশেষ। তিনি ভাবছেন, কবির রায়হান অতি ভদ্রলোক, সম্ভবত তিনি কোনো সমস্যায় আছেন। তাই হয়তো ফোনে ও মেসেঞ্জারে পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে আরও এক সপ্তাহ কেটে গেল। কিন্তু কবির রায়হানের কোনো খোঁজ নেই। এদিকে আফজাল সাহেবের স্ত্রী মিলি, অফিসের কলিগ, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে ফেসবুক বন্ধুরা তাঁর বইয়ের খবর জানতে চাইছে। আফজাল সাহেব সবাইকে লজ্জায় মিথ্যা কথা বলতেন, আর মাত্র দুদিন পর মেলায় বই আসবে। হঠাৎ একদিন খেয়াল করলেন, রায়হান কবির ফেসবুকে আফজাল সাহেবকে ব্লক করে দিয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোন আরও আগে থেকেই বন্ধ।

আফজাল সাহেব অস্থির হয়ে অবশেষে বইমেলায় গিয়ে আজকাল প্রকাশনী খুঁজতে লাগলেন। তিনি পুরো বইমেলা হন্যে হয়ে খুঁজে অবশেষে পেলেন আজকাল প্রকাশনীর স্টল। সেখানে গিয়ে তিনি সেলসম্যানকে ডেকে কবির রায়হান ও তাঁর নতুন বই সম্পর্কে জানতে চাইলেন। আজকাল প্রকাশনীর সেলসম্যান আফজাল সাহেবের কথা শুনে তাজ্জব বনে গেলেন। তিনি আফজাল সাহেবকে জানালেন, ওরা কবির রায়হান নামে কাউকে চেনে না। তিনি তখন ওদের সামনে আজকাল প্রকাশনীর সঙ্গে তাঁর বইয়ের অ্যাগ্রিমেন্ট সাইন পেপার দেখালেন। তারা তখন জানাল, ‘আপনি সম্ভবত কোনো প্রতারক কবির রায়হানের ভুয়া আজকাল প্রকাশনীর অ্যাগ্রিমেন্ট পেপারে সাইন করেছিলেন। এটার লোগোর সঙ্গে আমাদের লোগোর কোনো মিল নেই। আমাদের প্রকাশনীর নাম ভাঙিয়ে আপনার সঙ্গে কেউ প্রতারণা করেছে।’

এসব শোনার পর আফজাল সাহেবের মাথার ওপর যেন আকাশ ভেঙে পড়ল। তিনি আর বেশি সময় দাঁড়াতে পারলেন না। মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলেন। যখন জ্ঞান ফিরল, তখন তিনি একটা হাসপাতালের বিছানায় নিজেকে আবিষ্কার করলেন। পাশে বসে থাকা স্ত্রী মিলির কাঁধে মাথা রেখে স্বপ্নভঙ্গের কষ্টে আফজাল সাহেব বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করলেন। তিনি একটু সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে নতুন একটি কবিতা লিখলেন। এই কবিতার শিরোনাম দিলেন ‘স্বপ্ন ভঙ্গের বইমেলা’। সেটা ফেসবুকে তাঁর টাইম লাইনে পোস্ট দেওয়ার পর রাতারাতি হিট। বিভিন্ন জনের টাইমলাইনে শেয়ারের পর শেয়ার, ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গেল কবিতাটি। এই একটি কবিতাই আফজাল সাহেবকে একজন পাঠকনন্দিত জনপ্রিয় কবিতে পরিণত করল।