কাশ্মীরের সঙ্গে মিশে আছে তাঁর নাম

২য় ও শেষ পর্ব

অবস্থার পরিবর্তনের শুরু: শেখ আবদুল্লাহ স্থানীয় কাশ্মীরি স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে বাহিনী তৈরি করে শ্রীনগরকে ভালোমতো পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। প্রধানমন্ত্রী মেহেরচাঁদ মহাজনকেও জম্মুতে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। এই কাশ্মীরি স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপই পরে গঠিত জম্মু ও কাশ্মীর মিলিশিয়ার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়। আবদুল্লাহ মনে করেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর, এই মিলিশিয়াই জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব প্রতিরক্ষাবাহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
এ ব্যাপারে ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর সর্দার বল্লবভাই প্যাটেলকে এক চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘With the taking over of the State forces by the Indian Government, it was agreed that steps would be taken to reorganize and rebuild our army so that when the present emergency is over and the Indian forces are withdrawn, the State will be left with a proper organized army of its own to fall back upon.’ অর্থাৎ, এ বিষয়ে আমরা একমত, আমাদের সৈনিকেরা ভারতীয় সৈনিকদের দ্বারা আপাতত নিয়ন্ত্রিত হলেও জরুরি অবস্থার শেষে তাদের প্রস্থানের পর, সময়মতো কাজে লাগার জন্য আমাদের নিজস্ব একটি সৈন্য দল থাকবে। (শেখ আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, ১৯৫৩ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করার আগে, বেশির ভাগ মুসলিম মিলিশিয়াকে হয় জোরপূর্বক ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে (ডিসচার্জড) অথবা বন্দী করা হয়েছে (ইম্প্রিজিনড)। ১৯৭২ সালের ২ ডিসেম্বর ‘দাগান ব্রিগেড’ নামের এই মিলিশিয়াকে, স্টেট মিলিশিয়া থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর রেগুলার ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে এর নাম বদল করে রাখা হয়, ‘জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির লাইট ইনফ্যান্ট্রি’।
জাতিসংঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাষণ: ১৯৪৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিল) তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বলেন, ‘The (tribal) raiders came to our land, massacred thousands of people, mostly Hindus and Sikhs, but Muslims, too— abducted thousands of girls, Hindus, Sikhs and Muslims alike, looted our property and almost reached the gates of our summer capital, Srinagar.’
অর্থাৎ ‘আক্রমণকারী উপজাতিরা আমাদের ভূমিতে এসে আমাদের জনমানবের ওপর ধ্বংসলীলা চালায়। প্রধানত হিন্দু ও শিখ, মুসলিমদের ওপরেও হামলা হয়। তারা হিন্দু, শিখ ও মুসলিম নির্বিশেষে মেয়েদের ধরে নিয়ে যায়, আমাদের মালামাল লুট করে এবং আমাদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী, শ্রীনগরের প্রায় গেট পর্যন্ত চলে আসে।’
রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রত্যাবর্তন: ১৯৫৩ সালের ৮ আগস্ট মহারাজা হরি সিংয়ের ছেলে সদর-এ রিয়াসৎ (Constitutional Head of the State) ড. করণ সিং তাঁকে এই অজুহাতে বরখাস্ত করেন যে, মন্ত্রিসভায় (বিধান সভায় নয়) তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ওই সভায় তাঁর সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার সুযোগ দিতেও অস্বীকৃতি জানানো হয় ও তার সঙ্গে ভিন্নমতাবলম্বী বকশি গোলাম মোহাম্মদকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তদুপরি, শেখ আবদুল্লাহকে তৎক্ষণাৎ কাশ্মীর প্রদেশবিরোধী কুখ্যাত কাশ্মীর ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসিয়ে ১১ বছরের জন্য জেলে নিক্ষেপ করা হয়। শেখ আবদুল্লাহর কথা অনুযায়ী, তাঁকে বরখাস্ত করে জেলে পাঠানোর পুরো পরিকল্পনাটাই নাকি ছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের। এ কথা তিনি বি এন মল্লিকের উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর ‘মাই ইয়ার্স উইথ নেহরু’ বইয়ে লিখে গেছেন।
‘ফ্রন্টলাইন’-এ নুরানি এ কথা সমর্থন করে আরও লিখেছেন, নেহরু নিজেই নাকি এই আদেশটি দিয়েছিলেন। অথচ ১৯৬৪ সালের ৮ এপ্রিল প্রাদেশিক সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তথাকথিত কাশ্মীর যড়যন্ত্র মামলার সব অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়। মুক্ত হয়ে শ্রীনগরে ফিরলে তাঁকে ঐতিহাসিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ভারতে অন্তর্ভুক্তির পর ১৯৬৫ সালে ‘সদর এ রিয়াসত’ ও প্রধানমন্ত্রীর টাইটেল পাল্টে নাম হয় যথাক্রমে গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী।
জেল থেকে মুক্তির পর সম্পর্কের উন্নতি হলে নেহরু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানকে দিল্লিতে নিমন্ত্রণের ব্যাপারে আবদুল্লাহকে ‘ব্রিজ’ হিসেবে কাজ করতে বলেন, যাতে একসঙ্গে বসে কাশ্মীরের ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত মীমাংসায় আসা যায়। নেহরু ও আবদুল্লাহকে টেলিগ্রাম করে আয়ুব খান বৈঠকে যোগদানের ব্যাপারে জানান। ১৯৬৪ সালের বসন্তকালে শেখ আবদুল্লাহ পাকিস্তান গেলে প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের নানা সম্ভাব্য উপায় নিয়ে খোলাখুলি ও বিস্তারিত আলোচনা হয়। জুনের মাঝামাঝি আয়ুব খান দিল্লিতে এসে নেহরুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হন, আসার তারিখও দিল্লিকে জানানো হয়। শেখ আবদুল্লাহ দিল্লি ফেরার পথে ২৭ মে পাকিস্তান অধিকৃত মুজাফফরাবাদে যখন এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত তখন জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর খবর আসে। তাঁর প্রেরণায় প্রেসিডেন্ট আয়ুব খান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টার নেতৃত্বে একটি ‘হাই লেভেল ডেলিগেট’ নেহরুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পাঠান। কিন্তু নেহরুর মৃত্যুর পর ১৯৬৫ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত শেখকে শুধু যে অন্তরীণ রাখা হয় তা নয়, ১৯৭১ সালে ১৮ মাসের জন্য তাঁকে কাশ্মীরেরও বাইরে রাখা হয়। সেই সঙ্গে জনগণের ভোট দ্বারা কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণকারী আন্দোলন ‘প্লেবিসিট ফ্রন্ট’ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এ দুটোই করা হয় এই উদ্দেশ্যে, যাতে আবদুল্লাহ ও ‘প্লেবিসিট ফ্রন্ট’ কাশ্মীরের নির্বাচনে যোগ না দিতে পারে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের উদ্ভবের প্রতিক্রিয়া: ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সূত্রপাত হয়, সেটি ভারতের পূর্ব প্রান্ত ছাড়াও পশ্চিম প্রান্ত-পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধের পরিণতিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পরিস্থিতির হঠাৎ এমন মোড় ঘুরে যাওয়া দেখে শেষ আবদুল্লাহ চরম ভাবে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তিনি গভীর চিন্তা করে বুঝতে পারেন, এই শক্তির সঙ্গে দ্বন্দ্বের রাস্তায় গিয়ে কোন কাজ হবে না। বরং প্রত্যক্ষ বিরোধিতা ছেড়ে কথোপকথন ও সমঝোতার পথে সমস্যার নিরসন করতে হবে। এতে তাঁর শত্রুরা অনুযোগ করেন, প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের এত দিনের সংগ্রাম ছেড়ে নিজে মুখ্যমন্ত্রীর পদ বাগানোর লোভে তিনি এই কাজটি করেছেন।
যাই হোক, অবস্থা স্বাভাবিক করার প্রয়াসে শেখ আবদুল্লাহ তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে একটি চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হন, যেটির নাম ‘১৯৭৪ ইন্দিরা-শেখ চুক্তি’ এবং এই চুক্তি ভারতীয় সংবিধানে আর্টিকেল ৩৭০ নামে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই চুক্তির ফলে এত দিন ধরে চলে আসা ‘পুতুল সরকার’–এর পরিবর্তে কাশ্মীরের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সরকার দ্বারা প্রদেশটি শাসিত হবে।
এই চুক্তির ফলে কেবল স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, অর্থ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রের অধীনে থাকবে। বাকি সব দপ্তর কাশ্মীর প্রাদেশিক সরকারের অধীনে থাকবে। এ ছাড়া আর্টিকেল ৩৭০-র অধীনে আর্টিকেল ৩৫ (এ) নামে আরও একটি আর্টিকেল ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যেটি ১৯৫৬ সালে গৃহীত হয়েছিল। এতে কাশ্মীরের চিরস্থায়ী বাসিন্দা কে বা কারা তা নির্ধারণ করার ব্যবস্থা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, ১৯৫৪ সালের রেকর্ড অনুযায়ী যারা ওখানে বরাবর ছিল বা ১৯৫৪ সালের ১০ বছর আগে থেকে যাদের কেনা জায়গাজমির প্রমাণিত কাগজপত্র পাওয়া গেছে, তারাই কাশ্মীরের চিরস্থায়ী অধিবাসী হিসেবে গণ্য হবে। এই আইনের বলে কাশ্মীরের বাইরের কেউ কাশ্মীরে জমিজমা কিনতে পারবে না বা সরকারি চাকরির যোগ্যতা দাবি করতে পারবে না। একটু বর্ধিত কলেবরে, এই আইনের বলে কোন কাশ্মীরি নারী বা তাদের সন্তানসন্ততিও ‘বাইরের কাউকে’ বিয়ে করলে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, ভারত সরকার কাশ্মীরের ৭২ বছর ধরে স্বায়ত্তশাসনের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস’ বাতিল করেন ও প্রদেশটিকে দ্বিখণ্ডিত করে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রপতির শাসনের আওতায় আনেন। এর একভাগকে জম্মু ও কাশ্মীর ও অন্য ভাগকে লাদাখের-এর আওতায় দেওয়া হয়েছে।
আবার সরকারে প্রত্যাবর্তন: শেখ আবদুল্লাহ আবার কাশ্মীর শাসনে ফিরে আসেন। কিন্তু শিগগিরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও কংগ্রেস পার্টি শেখ আবদুল্লাহর ওপর থেকে তাঁদের সমর্থন উঠিয়ে নেন, যার ফলে প্রদেশে অন্তর্বর্তী নির্বাচন দেওয়া অনিবার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ভোটে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’ বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় এবং শেখ আবদুল্লাহই মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৯৮২ সালে তাঁর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল ছিলেন।
উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট ৬ ইঞ্চি দীর্ঘ আবদুল্লাহ উর্দু ও কাশ্মীরি উভয় ভাষায়ই পারদর্শী ছিলেন। বিশিষ্ট কাশ্মীরি লেখক এম ওয়াই তেং তাঁর অসংখ্যবার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তাঁর বাল্যকাল, শিক্ষাজীবন, পরিবার–পরিজন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ উর্দুতে লেখা “আতিশ এ চিনার’ নামে বইটি লিখে গেছেন। বস্তুত এই জীবনী গ্রন্থটিকে তিনি শেখ আবদুল্লাহর আত্মজীবনী বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, তাঁর মতে এর সব কথাই শেখের নিজস্ব। তিনি লিখে গেছেন মাত্র, নিজে কিছুই যোগ করেননি।
শেখ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ড. ফারুক আবদুল্লাহ কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
ব্যক্তিগত জীবন: শেখ আবদুল্লাহ ১৯৩৩ সালে আখতার জাহান নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন। তাঁর বাবা মাইকেল হ্যারি নিডো ছিলেন একজন ব্রিটিশ-স্লোভাক বংশজাত ভদ্রলোক, যিনি মিরজান নামে এক কাশ্মীরি নারীকে বিয়ে করেছিলেন। মাইকেল হ্যারি নিডোর কাশ্মীরের বিখ্যাত রিসোর্ট এরিয়া ‘গুলমার্গ’-এ একটি হোটেল ছিল। (লেখক তারিক আলী দাবি করেন, আক্তার জাহানের আগে করম শাহ নামে একজন আরবের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। তিনি আরও লেখেন, কলকাতার ‘লিবার্টি’ পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়, করম শাহ আসলে ছিলেন টি এইচ লরেন্স (লরেন্স অব অ্যারাবিয়া)। এটি প্রচার হওয়ার পর করম হঠাৎ উধাও হয়ে যান। অবশ্য এর তথ্যানুসন্ধান আর বেশি দূর গড়ায়নি)।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সরকার আবদুল্লাহকে নেহরুর এজেন্ট মনে করতেন এবং তাঁকে কাশ্মীরের নেতা বলে মেনে নিতে চাননি। শেখ জাতিসংঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থাকে তিনি হিটলারের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছিলেন। যাই হোক, আস্তে আস্তে তাঁর ওপর পাকিস্তানি মনোভাব নরম হতে থাকে। ১৯৬৪ সালে যখন তিনি পাকিস্তান ভ্রমণ করেন, তাঁকে পাকিস্তানি জনগণ বিপুলভাবে সংবর্ধনা দেয়। তাঁর একসময়ের সহযোগী ও পরে সমালোচক চৌধুরী গোলাম আব্বাস তাঁর বই, ‘কাশমাকাশ’–এ তাঁকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করলেও পাকিস্তানে তাঁকে আলিঙ্গন করে বলেন, শেখ আবদুল্লাহ উপমহাদেশের মহান নেতাদের অন্যতম ও দক্ষিণ এশিয়া এলাকার একজন মুসলিমদরদি নেতা।
পাকিস্তান সরকারও আবদুল্লাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আপ্যায়িত করেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের তিন বিশিষ্ট কবি হাফিজ জলন্ধরী, জশ ও ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ অন্যায়–অবিচারের বিরুদ্ধে ও সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে তাঁর সংগ্রামের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তবে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের স্বায়ত্ত শাসনের জন্য শেখ আবদুল্লাহর সারা জীবনের স্বপ্ন ও সংগ্রামের ইতিহাস কোন অবস্থান নেবে, তার মূল্যায়ন ভবিষ্যতের গর্ভে।