ছদ্মবেশী

অলংকরণ: অশোক কর্মকার
অলংকরণ: অশোক কর্মকার

তুমি কতবার নারীর বেশে এসে

হেসে-হেসে; পাশে বসে,
হাতখানি ছুঁয়ে গেছ যতবার,
সে রাতে ঘুমোতে পারিনি আমি আর!
নদীটি হয়েছে ভরা বর্ষার উজান—
শিহরণে জাগরণে।

যতবার মেয়েলি ঢঙে, নকল হাসিতে
কণ্ঠ-স্বর সরু; চিকন সুরে; দুষ্টুমি ঢঙে
গা এলিয়ে, আমার গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে—
ঢলে পড়ে; কথায় মেতেছ,
লজ্জায় হয়ে গেছি আড়ষ্ট; সংকুচিত!

পাশ থেকে বা কখনো পেছন থেকে জাপটে ধরে
যখন করেছ সখীত্ব,
আমার মাঝে কাজ করা সেই আবেশ; বলে দিতে পেরেছে
এই চুম্বকীয় আকর্ষণের মানে।

একদিন খুব দুঃখের সাথে
মনের না বলা কষ্টের কথা বলতে চেয়ে,
আরও বেশি নিবিড় তুমি যখন আমাকে
তোমার বুকে জড়িয়ে নিয়েছ,
আমি আর ধরে রাখতে পারিনি নিজেকে!

যেন হঠাৎ ঝরনা সৃষ্টির উন্মাদনার মতো
বয়ে গেছে জলধারা!

ছদ্মবেশী,
বুঝে গেছি; তুমি নও রমণী কোনো!
নও সাধারণ কোনো পুরুষও,
তুমি অনন্য! আমায় খুউব ভালোবাসে এমন কেউ,
ভালোবাসাময় সে তুমি; আমার কোনো এক—
প্রেমিক পুরুষ!

নিবেদিতা পুণ্যি সঞ্চারিণী: দাম্মাম, সৌদি আরব।