Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রধান আসামি আশিক গ্রেপ্তার

মো. আশিক

কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাদারীপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আজ রোববার রাতে র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

২৮ বছর বয়সী আশিকের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় দেড় ডজন মামলা রয়েছে।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর আশিক কক্সবাজার থেকে মাদারীপুরে এসে আত্মগোপন করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেখান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৩ ডিসেম্বর এক ব্যক্তি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় তাঁর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আশিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কক্সবাজারের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ওই নারী বলেছেন, আশিকের নেতৃত্বে তিনজন প্রথমে ঝুপড়ি চায়ের দোকানে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এরপর তাঁর স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। চায়ের দোকান থেকে তাঁকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে হোটেলে নিয়ে যান আশিক।

Also Read: ১০ বছরে ১৭ মামলার আসামি সেই আশিক

বর্তমানে ওই নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান ট্যুরিস্ট পুলিশের হেফাজতে আছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, টানা তিন মাস ধরে ওই নারী কক্সবাজারের বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন। সন্ত্রাসী আশিকের সঙ্গেও তাঁর পূর্বপরিচয় ছিল। কক্সবাজারে অবস্থানকালে তিনি কী কাজ করেছেন, সবই পুলিশের কাছে তুলে ধরেছেন ওই নারী। আদালতে দেওয়া জবানবন্দির সঙ্গে পুলিশকে দেওয়া তথ্যের ভিন্নতা নেই বলে দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কক্সবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুপুরে কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম জানিয়েছেন, ওই নারী আদালতে যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তাতে গ্রেপ্তার তিন যুবকের নাম আছে। শহরের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়ার মামুনুর রশিদ (২৮) ও পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২৫)।

Also Read: কক্সবাজারে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার