Thank you for trying Sticky AMP!!

চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

এখানে ছিল সবুজ পাহাড়। একটু একটু করে তা চলে গেছে ইটভাটার পেটে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার লটমনি মৌজার পূর্ব পাশে। গত ১৪ জানুয়ারি ছবিটি তোলা। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার চুড়ামনি ও লটমনি মৌজায় পাহাড় কাটার অভিযোগ তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ইটভাটার পেটে আস্ত পাহাড়’ শিরোনামে গত ২০ জানুয়ারি প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই ঘটনা তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে গত মাসে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন। আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী নিজে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ওই মৌজায় অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে ওই দুটি মৌজায় পাহাড় কাটা রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চুড়ামনি ও লটমনি— চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার সীমান্ত এলাকার ওই দুই মৌজা বছর দশেক আগেও পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চলে একাকার ছিল। সেই পাহাড়, টিলা ও বনের মধ্যেই এখন ছয়টি ইটভাটা। পাহাড় ও টিলার মাটি ব্যবহার করেই তৈরি করা হচ্ছে ইট। এতে সেখানকার সেই পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চলের অস্তিত্ব তেমন চোখে পড়ে না। এরই মধ্যে আস্ত একটি পাহাড় ইটভাটার পেটে চলে গেছে।