Thank you for trying Sticky AMP!!

বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করানো সেই স্বামী গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় স্ত্রীকে ‘শায়েস্তা’ করতে বন্ধুকে দিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করানোর অভিযোগ ওঠা স্বামী রফিকুল ইসলামকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রফিকুলকে প্রধান আসামি করে গতকাল শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূর বাবা। এরপর বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমবার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রোববার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শাহজাহানপুর থানা-পুলিশ।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার রফিকুল। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, তিনি দূরপাল্লার বাসের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেন। শনিবার যে সময়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তখন তিনি বাসে দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) আমবার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারের পর মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামীকাল সোমবার নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হতে পারে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে স্বামীর বিরুদ্ধে করা নির্যাতনের মামলা তুলে না নেওয়ায় বন্ধুকে দিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ ওঠে। ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে শরীর জখম ও মাথার চুল কেটে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন গৃহবধূ। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গৃহবধূ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই ক্রমাগত যৌতুক দাবি করতেন রফিকুল। যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন। অতিষ্ঠ হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে বগুড়া আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন গৃহবধূ। মামলা করার পর থেকেই তালাক দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন রফিকুল। মামলা তুলে না নেওয়ায় গতকাল দুপুরে এক বন্ধুকে নিয়ে বাসায় ঢোকেন রফিকুল। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের পর শারীরিক নির্যাতন করা হয়।

আরও পড়ুন:
বন্ধুকে দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টা