Thank you for trying Sticky AMP!!

ভূমধ্যসাগরে নিহতদের মধ্যে ছয়জন সিলেটের

প্রতি বছরই নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ফাইল ছবি

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মুহিদপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ হোসেন, একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজ, মফিজুর রহমান সিরাজের ছেলে লিটন শিকদার, গোলাপগঞ্জের হাওরতলা গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে আফজাল মোহাম্মদ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরান আহমদ মারুফ এবং মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকসিমাইল গ্রামের আহসান হাবীব শামীম। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আহসান হাবীব শামীম সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের ছোট ভাই এবং কামরান আহমদ মারুফ তাঁর শ্যালক।

নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিরা অভিবাসী হিসেবে আশ্রয় নিতে সাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া থেকে ইতালিতে যাচ্ছিলেন।

নিহত আবদুল আজিজের ভাই মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে একই গ্রামের বিলাল আহমদও ওই নৌকাতে ছিলেন। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বিলাল ফোন করে ছয় বাংলাদেশির নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, সিলেটের জিন্দাবাজার এলাকার ইয়াহিয়া ওভারসিজ নামের একটি ট্রাভেল এজেন্সির পরিচালকের সঙ্গে আট লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া হয়ে ইতালি যাওয়ার চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে আবদুল আজিজসহ আরও বেশ কয়েকজনকে দুবাই নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ওমান হয়ে লিবিয়া পাঠানো হয় তাদের। চুক্তির সময় এজেন্সির পরিচালক উড়োজাহাজে করে লিবিয়া থেকে ইতালি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু উড়োজাহাজের বদলে তাদের নৌকায় উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিউনিসিয়া উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। এই নৌকাডুবিতে নিহত ৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি।


আরও পড়ুন:

নিহত কতজন বাংলাদেশি নিশ্চিত নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি