ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি

নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন। তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন। তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে নিহত ৬০ জনের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি। রেড ক্রিসেন্ট এই তথ্য জানিয়েছে।

তিউনিসিয়ার উপকূলের কাছে গত বৃহস্পতিবার রাতে নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাডুবির ঘটনায় গত শুক্রবার তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিউনিসিয়ায় রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেন, নৌকাটিতে প্রায় ৭৫ জন আরোহী ছিলেন। তাঁদের সবাই পুরুষ। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনই বাংলাদেশি।

নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন। তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া কয়েকজন। তিউনিসিয়ার একটি আশ্রয়শিবিরে। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি

তিউনিসিয়ার জেলেরা নৌকার আরোহীদের মধ্যে ১৬ জনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে ১ শিশুসহ ১৪ জন বাংলাদেশি।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, অভিবাসীবাহী নৌকাটি বৃহস্পতিবার লিবিয়ার জুওয়ারা থেকে রওনা হয়। ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাটি ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নৌকাটি প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ডুবে যায়।

নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি
নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি। ১১ মে, তিউনিসিয়া। ছবি: এএফপি

চলতি বছর এটিই অভিবাসনপ্রত্যাশী বহনকারী কোনো নৌকাডুবির সবচেয়ে বড় ঘটনা।

ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে লিবিয়া থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে অন্তত ১৬৪ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।