Thank you for trying Sticky AMP!!

সেই গৃহবধূ নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার নারী রিমান্ডে

গাছে বেঁধে নির্যাতনের ফলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ডলি খানমের গর্ভপাত ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরের নকলায় গাছে বেঁধে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ডলি খানমকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত আসামি নাসিমা আক্তারকে (৩৯) চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শরীফুল ইসলাম খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক এ তথ্য জানান।

এ দিকে দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডলি খানমকে দেখতে যান জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনার কলি মাহবুব। এ সময় তিনি ডলির সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। ডলির পরিবারের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে ডলির প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য সিভিল সার্জন ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দায়িত্বশীল ও সচেতন থাকার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

ঘটনার দিন নির্যাতনের ফলে ডলির গর্ভপাত হয়। সে সময় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। তবে আবারও তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে ডলিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন বলে হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ গাইনি বিশেষজ্ঞ মো. লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে জানান।

নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. সজীব রহমান রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আগামী মঙ্গলবার নকলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শেষে নাসিমা আক্তারকে থানা হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনায় নাসিমা ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলেও জানান তিনি।

এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া এবং এসআই ওমর ফারুককে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনসে যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে গৃহবধূ ডলি খানমকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়। এ নির্যাতনের ফলে তাঁর গর্ভপাত ঘটে। ঘটনার এক মাস পর নির্যাতনের একটি ভিডিও চিত্র মুঠোফোনের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া ডলির স্বামী মো. শফিউল্লাহ বাদী হয়ে শেরপুরের সিআর আমলি আদালতে আরেকটি মামলা করেন। বর্তমানে দুটি মামলাই তদন্তাধীন।

আরও পড়ুন
গাছে বেঁধে গৃহবধূ নির্যাতন ঘটনায় ওসি প্রত্যাহার