Thank you for trying Sticky AMP!!

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান

তেজগাঁও থানার মামলাতেও জামিন পেলেন শামসুজ্জামান

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান।

আজ রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

৩ এপ্রিল রমনা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিনে মুক্তি পান শামসুজ্জামান।

আজ শামসুজ্জামানের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী ও প্রশান্ত কর্মকার। শামসুজ্জামানের পক্ষে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন আশরাফ-উল-আলম, এম এ জলিল, বাহাউদ্দিন আল ইমরান, এ কে এম রাব্বি ও মাহমুদুল ইসলাম।

এর আগে গত ৩০ মার্চ সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে। পরে রমনা থানার পুলিশ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
২৯ মার্চ ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তাঁরা।

Also Read: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘ফটোকার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার পর অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর। বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।

Also Read: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান কোথায়, তুলে নেওয়ার ১৮ ঘণ্টা পরেও মুখ খুলছে না কেউ

এ ঘটনার জেরে ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, থানায় নথিভুক্ত হওয়া এজাহার অনুযায়ী মামলাটি হয়েছে। বাদীর পরিচয় লেখা হয়েছে, তিনি ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা। তাঁর ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

Also Read: বিচলিত হইনি, সঠিক সাংবাদিকতা করে যাব : শামসুজ্জামান