Thank you for trying Sticky AMP!!

আগুনে ভেঙেচুরে গেছে ভবনের সবকিছু

আগুনের শুরু কোথায়, কীভাবে ছড়াল জানালেন র‍্যাবের মহাপরিচালক

রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনের নিচতলার ছোট একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। অনেকগুলো সিলিন্ডার থাকায় সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে ভবনে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে যায়।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন এ কথা বলেন। ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বার্ন হাসপাতালে আসেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। তিনি বলেন,  ‘ওখানে (বহুতল ভবন) ফায়ার সার্ভিসের যিনি উপপরিচালক আছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিজেও দেখে আসলাম। শুরু হয়েছিল নিচতলার ছোট একটি দোকান থেকে। সিলিন্ডার থেকে, উনি যেটা বললেন আমাকে। প্রাথমিকভাবে এক্সটিংগুইশার (অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র) দিয়ে তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। আরও অনেকগুলো সিলিন্ডার ছিল, সেগুলো বিস্ফোরিত হওয়াতে আগুন খুব দ্রুত আকারে ছড়িয়ে যায়।’

যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ধোঁয়ার কারণে দম বন্ধ হয়ে (সাফোকেশন) মারা গেছেন বলে জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক। আগুনে পুড়ে খুব কমজনই মারা গেছেন বলেন তিনি।

Also Read: ঢাকার বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন, এ পর্যন্ত যা জানা গেল

সাততলা ভবনে ওঠার জন্য একটা মাত্র সিঁড়ি ছিল। দুটি লিফট ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় লিফট বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘কথা বলে যেটা বুঝতে পেরেছি, যখন মানুষ নিচে নামতে গেছে, তখন ভেবেছে নিচে আগুন লেগেছে, যখন ওপরে আছে তখন ভেবেছে, ওপরে আগুন লেগেছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।’

বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া সাততলা ভবন। আজ শুক্রবার সকালের ছবি

Also Read: ‘দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ বলেছিলেন ভিকারুননিসার শিক্ষক ও তাঁর মেয়ে

সরকার দায়িত্ব দিলে আগুনের ঘটনা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান র‌্যাবের মহাপরিচালক। তাঁদের প্রতিবেদনেও কী ঘটেছে, তার বর্ণনা থাকবে বলে জানান।  
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডে আজ দুপুর পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ৪৬–এ পৌঁছেছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তি সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন,  শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১০ জন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ভর্তি আছেন।

ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোয়ও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

Also Read: ‘আমার মেয়ে বলছিল, বাবা, জন্মদিনটা কি মৃত্যুদিন হয়ে যাচ্ছে?’