Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাতা বেশি, বাড়ল খুশি

সংগঠনের সদস্যরা রিকশাচালককে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ছাতাটির ব্যবহার। ফার্মগেট, ঢাকা, ৫ জুলাই। ছবি: দীপু মালাকার

রাজধানীর খামারবাড়ি ও ফার্মগেট এলাকায় শুক্রবার সকালে বৃদ্ধ শ্রমজীবীদের ৭০টি ছাতা বিতরণ করেছে লাল-সবুজ সোসাইটি। গত ২৫ জুন সংগঠনটি প্রথমবারের মতো ঢাকায় এ কর্মসূচি হাতে নেয়। সেদিন টিএসসি, ফুলার রোড ও নীলক্ষেত মোড়ে বয়স্ক শ্রমজীবীদের ৫০টি ছাতা দেওয়া হয়েছিল।

সেদিনই প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ছবির গ্যালারিতে এই ঘটনার একটি ছবি প্রকাশিত হয় এবং ছবিটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়। এরপর ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। দেশ-বিদেশ থেকে এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে অনেকেই সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ফজলুল বারী লাল-সবুজ সোসাইটিকে আর্থিক সহায়তা দেন, যাতে আরও বেশি রিকশাচালককে ছাতা কিনে দেওয়া যায়।

ছাতা পেয়ে খুশি এই রিকশাচালক। খামারবাড়ি, ঢাকা, ৫ জুলাই। ছবি: দীপু মালাকার

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তাহসীন উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ মূলত অস্ট্রেলিয়ার সেই প্রবাসী ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে কেনা ১৫০টি ছাতা থেকে ৭০টি ছাতা বিতরণ করা হলো। বাকি ছাতাগুলো দেওয়া হবে খুলনা ও নরসিংদী শহরে।’

শুক্রবারের কর্মসূচিতে অংশ নেন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে সাওদা বুশরা বলেন, ‘এই ছাতা প্রজেক্ট বরিশালে আগে একবার করার অভিজ্ঞতা ছিল। ঢাকায় আমাদের সদস্যরা থাকলেও সেভাবে কার্যক্রম ছিল না। প্রচণ্ড গরমে তাই ঢাকায় শ্রমজীবীদের মধ্যে ছাতা বিতরণের ব্যাপারটি নিয়ে ভাবছিলাম আমরা। ফেসবুকে সবার সঙ্গে কথা বলে সুবিধাজনক দিন ঠিক করে কাজে নেমে পড়ি। শুরুতে ছাতাগুলো দেওয়ার সময় অনেকে মনে করত, এটি কোনো করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ছাতা। জানতে চাইত, আমাদের কোম্পানির নাম কী! এক রিকশাচালক চাচাকে আমি ডাকলাম ছাতা দেওয়ার জন্য। তিনি বললেন, মা, আমার কাছে তো টাকা নেই। তখন বললাম, চাচা এটা আপনাদের জন্য আমরা কিনে নিয়ে এসেছি, জমানো টাকা থেকে। তখন তিনি হাসতে হাসতে ছাতাটা নেন। তাঁর সেই হাসি ছিল অকৃত্রিম।’

এই চালকের প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি যে ছাতাটি বিনা মূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ইন্দিরা রোড, ঢাকা, ৫ জুলাই। ছবি: দীপু মালাকার

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি তাহসীন উদ্দীন জানান, এমন ভাবনা মূলত গত বছর মাথায় আসে। প্রাথমিকভাবে নিজেদের পকেট মানি ও টিফিনের টাকায় এসব ছাতা কেনা হয়। প্রথমে ৮০টি ছাতা বরিশাল ও ঝালকাঠিতে বিতরণ করা হয়। পরে ঢাকায় ৫০টি ছাতা দেওয়া হয়। প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এখন অনেকেই সহায়তা করতে চাচ্ছেন। এই কাজকে আরও এগিয়ে নিতে চান বলে জানান তাহসীন।