লাল-সবুজের 'ছাতা'য় খুশি

>‘এই যে চাচা, এদিকে আসেন’, যাত্রী ভেবে এগিয়ে আসেন রিকশাচালক। কিন্তু যাত্রী যে রিকশায় না উঠে মাথায় ছাতা বেঁধে দেবেন, তা কে জানে! অবাক হতে হতে আনন্দে নাতি-নাতনির বয়সী ছেলে-মেয়েদের এই কাজ দেখে হেসে ফেলেন রিকশাওয়ালা। মঙ্গলবার দুপুরের তপ্ত রোদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ফুলার রোডে দেখা মিলল ১০-১২টি ছেলেমেয়ের এই কর্মকাণ্ড। গরমের তীব্রতা থেকে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘব করতে এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে বরিশালে গড়ে ওঠা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লাল-সবুজ সোসাইটি’। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বিএম কলেজের শিক্ষার্থী তাহসিন উদ্দীন জানালেন, আজ সারা দিনে সংগঠনের ঢাকার সদস্যদের হাতখরচের টাকা জমিয়ে কেনা ৫০টি ছাতা তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বৃদ্ধ রিকশাচালকদের দিয়েছেন। শ্রমজীবী মানুষকে ছাতা দেওয়ার এই কর্মসূচি তাঁরা প্রথমবার করেন বরিশালে। আর সংগঠনটির ঢাকার সদস্য, যাঁরা রাজধানীর স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তাঁরা করলেন আজকের এই আয়োজন। সামনে নরসিংদী ও খুলনায় এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে তাঁরা জানান। আর যাঁদের জন্য এ আয়োজন, হাসি মুখে তাঁরা জানালেন ‘আল্লাহ তাগোর মঙ্গল করুক।’
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাতা পেয়ে বেশ খুশি এই রিকশাচালক।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাতা পেয়ে বেশ খুশি এই রিকশাচালক।
অনেক চালক প্রথমে বেশ অবাকই হয়েছেন।
অনেক চালক প্রথমে বেশ অবাকই হয়েছেন।
শুধু বৃদ্ধ রিকশাচালক দেখলেই মাথায় আটকানো যায় এমন ছাতা পরিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
শুধু বৃদ্ধ রিকশাচালক দেখলেই মাথায় আটকানো যায় এমন ছাতা পরিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা
নীলক্ষেত মোড়ে অনেক চালক পেয়েছেন এ ছাতা
নীলক্ষেত মোড়ে অনেক চালক পেয়েছেন এ ছাতা
রোদ থেকে বাঁচতে এ ছাতা বেশ আরামই দেবে বলে মনে করেন তাঁরা
রোদ থেকে বাঁচতে এ ছাতা বেশ আরামই দেবে বলে মনে করেন তাঁরা
এই বৃদ্ধ দিনমজুরও তাঁদের ‘ছাতা’র কাজ দেখে খুব খুশি
এই বৃদ্ধ দিনমজুরও তাঁদের ‘ছাতা’র কাজ দেখে খুব খুশি