Thank you for trying Sticky AMP!!

মানের অবনমন হয়ে গেছে

নজরুল ইসলাম

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩০ বছরে শিক্ষকদের পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের (আপগ্রেডেশন) বিষয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদের মধ্যে একটি অনুপাত থাকার নিয়ম ছিল।

কিন্তু যখন থেকে পুনর্বিন্যাস বা রি–স্ট্রাকচারিং শুরু হয়েছে, তখন থেকে ওই নিয়ম অকার্যকর হয়ে গেছে। এরপর থেকে যিনি যখন যোগ্যতা অর্জন করেন, তখনই পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এমনটা আছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যে আবার অন্য রকম ব্যবস্থা; একজন, দুজন অধ্যাপক। আগে যেটি আমাদের দেশেও ছিল।

Also Read: অধ্যাপক বেশি, প্রভাষক কম

এটি দেখতে খারাপ লাগে যে একটি বিভাগের ২০ জন শিক্ষকের মধ্যে ১০ জন বা তারও বেশি শিক্ষক অধ্যাপক পদে রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে হয়তো ৫ জন সহযোগী অধ্যাপক, ৪ জন সহকারী ও ১ জন প্রভাষক।

তবে এটাও ঠিক, কারও যদি সতিক্যারের যোগ্যতা থাকে, তাহলে তাঁকে আটকে রাখার প্রয়োজন নেই। নইলে তাঁরা হতাশ হয়ে যাবেন। পদোন্নতির নিয়মগুলো কঠিনভাবে মানলে এবং খুব ভালো ডিগ্রি, ভালো মানের প্রকাশনা ও গবেষণা থাকলে পদোন্নতিতে আপত্তি থাকার কথা নয়। মূল কথা হলো, বিষয়টি অত্যন্ত মানসম্মত হওয়া উচিত।

অনেক সময় দেখা যায় কোনো শিক্ষক অধ্যাপক হয়েছেন, তাঁর পিএইচডি নিজের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করা এবং সব প্রকাশনা নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের। একজন অধ্যাপক হবেন, সেখানে তাঁর একটিও আন্তর্জাতিক প্রকাশনা থাকবে না, সেটা তো হয় না। এটি দুঃখজনক। ডিগ্রি দেশে হোক, অসুবিধা নেই। কিন্তু অন্তত কিছু প্রকাশনা যেন স্বীকৃত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়।

আমি যেটি বলতে চাই সেটি হলো পদোন্নতি–পদোন্নয়ন হতেই পারে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি যেন সত্যিকারের মানসম্মত হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রকাশনার গুণগত মানটি খুব বেশি দরকার।

এখন তো যেনতেন প্রকাশনা নিজেদের জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে। কোথাও কোথাও কোনো রকমে ১২ বছর হয়ে গেলে এবং পিএইচডি ও কোনোমতে কয়েকটি প্রকাশনা থাকলেই কেউ অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন। এখন মানের অবনমন হয়ে গেছে। যদি ব্যবস্থাটি সত্যি সত্যি উন্নত মানের হয়, তাহলে পদোন্নতিতে আপত্তি দেখি না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) পর্যবেক্ষণ করতে পারে।

অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান, ইউজিসি