অধ্যাপক বেশি, প্রভাষক কম

শিক্ষা-গবেষণায় পিছিয়ে থাকলেও চাকরির বয়স আর ‘যেনতেন’ জার্নালে প্রকাশনার মাধ্যমে অধ্যাপক হওয়া যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপকের মূল পদ ৭টি। কিন্তু বিভাগটিতে এখন অধ্যাপক রয়েছেন ১২ জন। ৭টি মূল পদের বাইরে বাকি ৫ জনকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়, যার প্রক্রিয়াগত নাম ‘পুনর্বিন্যাস বা রিস্ট্রাকচারিং’।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকসংখ্যা ২৩। বাকিদের মধ্যে ৬ জন সহযোগী অধ্যাপক এবং ৫ জন সহকারী অধ্যাপক। তবে প্রভাষক নেই একজনও, যদিও এটিই শিক্ষক পদে চাকরি শুরুর পদ।

আরও পড়ুন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কিছু বিভাগ রয়েছে, যেখানে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি, প্রভাষক একেবারেই কম। দেশের আরও অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রটি একই। অভিযোগ আছে, যোগ্যতা, শিক্ষকতা ও জ্ঞানচর্চার সুনাম, ভালো মানের গবেষণা ও প্রকাশনা না থাকার পরও অনেকে অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন। নিচের পদগুলোতেও দ্রুত পদোন্নতি হচ্ছে। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক সংখ্যায় ভারসাম্য থাকছে না।

এত দিন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এ রকম হতে দেওয়া হবে না।
দিল আফরোজা বেগম, প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক

শিক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, সহজ পদোন্নতির দুটি সমস্যা। প্রথমত, শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষা ও গবেষণায় ঝোঁক কমে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মানে অবনতি হয়। দ্বিতীয়ত, পদোন্নতিপ্রাপ্তদের বাড়তি বেতন, ভাতা ও সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন হয়, যা সরকারের ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। শিক্ষকেরা আরও বলেন, অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু দেখতে হবে, সেই অধ্যাপকেরা আসলে কতটুকু যোগ্য। এখনকার পরিস্থিতি হলো, অধ্যাপক পদের মর্যাদা আর থাকছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উচ্চশিক্ষা দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এ রকম হতে দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন

নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়ে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে অভিন্ন নির্দেশিকা করে দেওয়া হয়েছে। জনবল নির্ধারণের নীতিমালা করা হয়েছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এগুলো না মানলে জনবল কাঠামো অনুমোদন দেওয়া হবে না।

এখন অনেকটা সহজেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এসব পদে পদোন্নতি হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সেই রকম কিছু যোগ্যতা থাকা দরকার। সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনেক কাঠগড় পোড়াতে হবে। না হলে কেউ খাটবেন না, কষ্ট করবেন না।
মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় অধ্যাপক

পদোন্নতির শর্ত কী

দেশে বর্তমানে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পদোন্নতির শর্ত ভিন্ন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মোটা দাগে তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়-১. চাকরির বয়স। ২. পিএইচডি ডিগ্রি ও ৩. এমফিল ডিগ্রি। এর সঙ্গে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রকাশনা থাকতে হয়। পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রির ক্ষেত্রে চাকরির বয়সে ছাড় দেওয়া হয়।

দেশের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে তিনটি বিকল্প রয়েছে: ১. বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির বয়স ২৫ বছর হতে হবে, যার ১০ বছর হতে হবে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে। ২. পিএইচডি ডিগ্রি থাকলে ১২ বছরেই অধ্যাপক হওয়া যাবে এবং ৩. এমফিল ডিগ্রির ক্ষেত্রে অধ্যাপক হওয়া যাবে ২০ বছরে। তিন ক্ষেত্রেই ১৫টি প্রকাশনা থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হতে চার বছর চাকরি করতে হয়। পিএইচডি থাকলে এক বছরেই পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব। এমফিল ডিগ্রির ক্ষেত্রে তিন বছরে সহকারী অধ্যাপক হওয়া যায়। তিন ক্ষেত্রেই প্রকাশনার শর্ত রয়েছে। সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার ক্ষেত্রে ১৪ বছর চাকরি, পিএইচডি থাকলে ৭ বছর চাকরি অথবা এমফিল থাকলে ১০ বছর চাকরির পর পদোন্নতি পাওয়া যায়। তবে এ ক্ষেত্রেও প্রকাশনা থাকতে হয়।

আরও পড়ুন

কোথাও কোথাও শর্ত আরও শিথিল। যেমন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়মে ১৪ বছর (রেয়াত সুবিধাসহ) চাকরি করলে অধ্যাপক হওয়া যায়।

প্রকাশনাও এখন সহজ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিভাগে জার্নাল রয়েছে। যেনতেন মানের সেসব জার্নালে প্রকাশনা প্রকাশ করা কঠিন কিছু নয় বলে শিক্ষকেরাই মনে করেন। আবার শিক্ষকদের কারও কারও বিরুদ্ধে প্রকাশনার ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তি বা প্ল্যাজিয়ারিজমের অভিযোগও রয়েছে।

অধ্যাপক সংখ্যা কত

ইউজিসির গত অক্টোবরে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন (২০২০) অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ৪২৬ জন। তাঁদের মধ্যে পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রিধারী শিক্ষক ৬ হাজার ৬৫০ জন। শিক্ষকদের মধ্যে অধ্যাপকের সংখ্যা সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষক রয়েছেন সহকারী অধ্যাপক পদে, ৫ হাজারের বেশি। দেখা যাচ্ছে, মোট শিক্ষকের ২৯ শতাংশ অধ্যাপক পদে রয়েছেন। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার শুরুর পদে রয়েছেন ১৭ শতাংশের মতো শিক্ষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ২ হাজার ২০০ জনের মতো। এর মধ্যে পৌনে ৯০০ শিক্ষক রয়েছেন অধ্যাপক পদে। বিপরীতে প্রভাষক রয়েছেন মাত্র ৩২৫ জন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ১ হাজার ৯৭ জন। এর অর্ধেকের বেশি অধ্যাপক। প্রভাষক মাত্র ৫৬ জন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও একই চিত্র। প্রায় ৬০০ জন শিক্ষকের অর্ধেকের বেশি রয়েছেন অধ্যাপক পদে।

প্রভাষক মাত্র ২৪ জন। পদের দিক দিয়ে এমন ভারসাম্যহীনতায় আরও রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক কম

জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ৪৬ জন। এর মধ্যে অধ্যাপক মাত্র একজন। গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক আছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে একজন চুক্তিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ৩৪টি বিভাগ রয়েছে।

অপেক্ষাকৃত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক না থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানে শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ২০১৭ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেষণে পাঠানোর সুপারিশ করেছিল ইউজিসি। এ জন্য আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিতে বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু সেটি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক থেকে একজন শিক্ষক যখন অধ্যাপক হন, তখন তাঁর বেতন হয় জাতীয় বেতনকাঠামোর ৩ নম্বর গ্রেডে। এরপর নির্ধারিত একটি সময়ের পর নির্ধারিত সংখ্যক অধ্যাপক গ্রেড ২-এ যান।

আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অধ্যাপকদের মধ্যে ২৫ শতাংশ গ্রেড-১–এ যাওয়ার সুযোগ পান। জনপ্রশাসনে সচিবেরাও বেতন পান গ্রেড-১–এ। এই গ্রেডে মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বাড়িভাড়াসহ বিভিন্ন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।

পদ না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয়ে অবসরে যাওয়ার বয়স এখন ৬৫ বছর। এখন প্রায় সব শিক্ষক অবসরে যান অধ্যাপক হয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পদ না থাকলেও পদোন্নতির ক্ষেত্রে যে বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে, তার নাম রি-স্ট্রাকচারিং (পুনর্বিন্যাস)। এ ব্যবস্থায় পদ না থাকলেও নিচের পদগুলোর বিপরীতে শর্ত পূরণ করলেই পদোন্নতি দেওয়া হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক পদে অনুমোদিত মূল পদ রয়েছে ৩টি। অধ্যাপক রয়েছেন ১৪ জন। যদিও এ বিভাগে প্রভাষক মাত্র ৩ জন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, সেখানেও মোটামুটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নিয়মেই পদোন্নতি হয়। পদ না থাকলেও পদোন্নতি (আপগ্রেডেশন) দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মটি মোটামুটি একই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রথম আলোকে বলেন, যোগ্যতার আলোকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে ‘পুনর্বিন্যাস’ করে উচ্চতর পদগুলোতে পদোন্নতি দেওয়া হয়। উন্নত বিশ্বেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে কিন্তু অধ্যাপক অসংখ্য।

অবশ্য শিক্ষকেরাই জানিয়েছেন, অধ্যাপক সংখ্যার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে দুই ধরনের ধারা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশি। যুক্তরাজ্যে কম। দুই দেশের ক্ষেত্রেই মিলটি হলো, শিক্ষা ও গবেষণায় উচ্চতর যোগ্যতা অর্জনের পর পদোন্নতি হয়। কিন্তু বাংলাদেশে চিত্রটি ভিন্ন।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায়, অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং স্বজনপ্রীতি করে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ বিস্তর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুস সোবহান গত বছর নীতিমালা শিথিল করে এবং অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাঁর মেয়ে ও জামাতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শহীদুর রহমান খান ২০২০ তাঁর স্ত্রীকে সরাসরি অধ্যাপক বানাতে চেয়েছিলেন, যিনি একজন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। যদিও তা সম্ভব হয়নি।

অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকেরা শিক্ষাগবেষণায় পিছিয়ে থাকেন। অবশ্য তাঁদের অধ্যাপক হওয়াটা সহজ। আশাব্যঞ্জক দুটি দিক হলো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম করেছে, ২০২৩ সাল থেকে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক হতে হলে পিএইচডি ডিগ্রি লাগবেই।

আর ইউজিসি যে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছিল, তা বাস্তবায়নে কঠোর হচ্ছে। শিক্ষকেরা সপ্তাহে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, সে অনুযায়ী কত শিক্ষক লাগবে, সেটাও নির্ধারণ করছে ইউজিসি। চাইলেই কেউ পদের বাইরে নিয়োগ বা পদোন্নতি দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ প্রথম আলোকে বলেন, এখন অনেকটা সহজেই অধ্যাপক পদে পদোন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এসব পদে পদোন্নতি হতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সেই রকম কিছু যোগ্যতা থাকা দরকার। সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য অনেক কাঠগড় পোড়াতে হবে। না হলে কেউ খাটবেন না, কষ্ট করবেন না।