Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় সাহেদ করিমের বিচার শুরু

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকায় র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ (হাতকড়া লাগানো)

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুটি মামলায় সাতক্ষীরা আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক শেখ মফিজুর রহমান অভিযোগ গঠন শেষে ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারক শেখ মফিজুর রহমানের কাছে কথা বলার অনুমতি চান সাহেদ। অনুমতি দেওয়ার পর তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, তাঁকে ঢাকা থেকে ধরে এনে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাতক্ষীরায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্যের দিন ধার্য করা হয়েছে। পরে তাঁকে আবারও সাতক্ষীরা কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এ দুটি মামলার তিনি একমাত্র আসামি। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই দুই মামলার বিচার শুরু হলো।

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায় জানান, গত বছরের ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন। বোরকা পরিহিত সাহেদকে কোমরপুর বেইলি সেতুর নিচ থেকে র‌্যাব-৬-এর সদস্যরা গোপন সংবাদে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। এ সময় তাঁর কাছে থাকা একটি অবৈধ পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, ২ হাজার ৩৩০ ভারতীয় রুপি, তিনটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

ওই দিন সকালে সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দেবহাটা থানায় সাহেদ করিম ও জনৈক বাচ্চু মাঝিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা দেবহাটা থানার পরিদর্শক উজ্জল কুমার মৈত্রের হাত ঘুরে র‌্যাবের উপপরিদর্শক রেজাউল করিম তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। ওই বছরের ২৪ আগস্ট বাচ্চু মাঝির হদিস না পেয়ে শুধু সাহেদ করিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

Also Read: ভারত হয়ে সিঙ্গাপুর যেতে চেয়েছিলেন সাহেদ করিম