Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’ আগ্রহী জাপান

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্বে নিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। জাপান-বাংলাদেশ সমন্বিত সহযোগিতার সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারত্বে নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান।

আজ বৃহস্পতিবার দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠকটি হয় ভার্চ্যুয়ালি, যা চলে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। আলোচনায় জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী হিরোশি সুজুকি তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন। দুই দেশের প্রথম পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক ২০১৬ সালে ঢাকায় এবং দ্বিতীয় বৈঠক ২০১৮ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। অবাধ প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে জাপান কথা বলেছে। সেই প্রক্রিয়ায় তারা বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে চায়। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করেছি। বিষয়টি আমরা দেখব।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই জাপানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালে জাতির জনকের টোকিও সফরের মধ্য দিয়ে সে সম্পর্ক সুদৃঢ় ভিত্তি পায়। এরপর থেকে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। সবশেষ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের পর জাপানের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন সেই সম্পর্ককে আমরা সমন্বিত সম্পর্ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলাম। অর্থনীতি, বিনিয়োগসহ অন্য বিষয়গুলো নিয়ে। আজও আমরা সমন্বিত সম্পর্ককে কীভাবে কৌশলগত সম্পর্কে নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। তার উপাদানগুলো কী কী, বাধাগুলো কী কী, জাপান এ নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেক অনুষ্ঠান যৌথভাবে উদ্‌যাপন করা হবে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা সফর করবেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জাপানের দেশের সম্রাটের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। ২০২২ সাল হবে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত। সম্পর্কটা কৌশলগত যেমন হবে, তেমনি বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়বে।’

Also Read: জাপানের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্বে আগ্রহী বাংলাদেশ

মাসুদ বিন মোমেন জানান, জাপানের প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ি প্রকল্পকে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামে আঞ্চলিক উন্নয়নে কীভাবে বাড়ানো যায়, সেভাবে জাপান এগোচ্ছে। সব মিলিয়ে জাপানের এই উন্নয়নপ্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ অংশ হতে চায়।

এ ছাড়া তাঁদের আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি উঠেছে। এই সমস্যা সমাধানে প্রত্যাবাসন যে মূল, সেটা বাংলাদেশ তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাপানের সহায়তা চেয়েছে বলে মাসুদ বিন মোমেন জানান।

Also Read: পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক: জাপানের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারত্ব’ চাইবে বাংলাদেশ