Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপির দাবি ১৭ নেতা–কর্মী গুলিবিদ্ধ, পুলিশের দুই মামলা

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা বিএনপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন। আজ শুক্রবার সকালে

ময়মনসিংহে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে ২টি মামলা করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ছাত্রদলের ২০ নেতা–কর্মী আহত হন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষের পর থেকে ২৮ নেতা–কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং পুলিশ ২২টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।

আজ শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা বিএনপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গতকাল শম্ভূগঞ্জ বাজারের চরকালীবাড়ি এলাকায় খোলা মাঠে জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রদল। ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদল ছাড়াও উত্তর জেলা ছাত্রদল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদলের যৌথ অংশগ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধা দেয় এবং অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ করে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয় এবং তাদের ১০ নেতা–কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ২৮টি মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শফিকুল ইসলাম এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। পাশাপাশি সরকার ও প্রশাসনকে হামলা, দমন, নিপীড়নের রাজনীতি বন্ধ করে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশের ধাওয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ চরকালীবাড়ি এলাকায়

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, শেখ আমজাদ আলী, আলমগীর মাহমুদ আলম, রেজাউল করিম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম এ হান্নান খান, শামীম আজাদ, এ কে এম মাহবুব আলম প্রমুখ।

Also Read: ময়মনসিংহে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ছয় পুলিশসহ আহত ২৬

সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে পুলিশের ভাষ্য, কোনো অনুমতি ছাড়াই করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থবিধি উপেক্ষা করে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ছাত্রদল। তাদের নিষেধ করাও সত্ত্বেও অনুষ্ঠান চালাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩০টি ফাঁকা গুলি করে। সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের নামে দুটি মামলা করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এবং পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার জন্য দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০০–৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।