ময়মনসিংহে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ছয় পুলিশসহ আহত ২৬

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ চরকালীবাড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকার চরকালীবাড়িতে ছাত্রদলের সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াজেদ আলীসহ ছয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এ সময় ছাত্রদলের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রশিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুর রহমান, বিভাগীয় সহসাংগাঠনিক সম্পাদক নাইমুল করিম, মহানগর সাধারণ সম্পাদক তানবীর আহমদ রয়েছেন। এ সময় ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ এবং বাকৃবি ছাত্রদলের উদ্যোগে চরকালীবাড়িতে একটি মাঠে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই সভায় বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা করে। লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে সভা পণ্ড করে দেয়। এ সময় বিএনপির প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হন।’

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের পুলিশের ধাওয়া। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর শম্ভুগঞ্জ চরকালীবাড়ি এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

তবে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলছেন, করোনাকালে সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করে ছাত্রদল সমাবেশ করছে, এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। পুলিশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে গেলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে দুজন পুলিশ পরিদর্শকসহ পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। পুলিশের আহত সদস্যদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।