মশিউর রহমান রাঙ্গা সংসদে মিথ্যাচার করেছেন: ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা
‘মশিউর রহমান রাঙ্গা সাহেব কী জন্য বায়াসড হলেন, আমি বুঝলাম না। তিনি একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ, প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্যে তিনি প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। আপনার মতো একজন জাতীয় ব্যক্তিত্ব কথা বলার আগে সত্য বিষয়টা জানা উচিত ছিল। জাতীয় সংসদের মতো একটি পবিত্র জায়গায় আপনি মিথ্যাচার করেছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টায় ফেসবুক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী দিনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে এসব কথা বলেন তিনি।
৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাতীয় পার্টির নেতা সাইফুল ইসলামকে বসুরহাট বাজারের কালা মিয়া ম্যানশন নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে থেকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তুলে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পৌরসভা ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে তাঁকে আটকে রেখে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালানো হয় বলে পরিবারের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে নোয়াখালী শহরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন দলটির নেতা–কর্মীরা। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ জাতীয় পার্টির দুজন সাংসদ জাতীয় সংসদে অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ সময় তাঁরা কাদের মির্জার বিচার দাবি করেন এবং এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জাতীয় পার্টির সাংসদদের বক্তব্যের জবাবে রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন কাদের মির্জা। এ সময় তিনি বলেন, ‘মশিউর রহমান রাঙ্গা সাহেব একরামের (সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী) মতো অপরাজনীতির হোতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। কষ্ট হয়, কষ্ট হয়। আমি আজকে জি এম কাদের সাহেবের কাছে বলব, বিষয়টা আপনি সত্যতা যাচাই করেন। যদি আমি অপরাধ করে থাকি, তাহলে বিচার করেন। অন্যথায় যারা এই মিথ্যাচার করেছে, যারা জাতীয় সংসদের মতো পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলেছে, যারা এটার সঙ্গে জড়িত, নোয়াখালীতে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে, তারা আপনাদের দলের একটা অংশ। জি এম কাদের সাহেব, আমি তাদের বিচার আপনার কাছে চাই।’
কাদের মির্জার আত্মীয়স্বজন এবং পুলিশ প্রশাসনও তাঁর সঙ্গে নেই বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আজকে আমার আত্মীয়রা আমার সঙ্গে নেই। মন্ত্রীর বউ আমার সঙ্গে নেই। পুলিশ প্রশাসনও আমার সঙ্গে নেই। মন্ত্রী আমার সঙ্গে যে ওয়াদা দিয়েছিল, তা একটাও রক্ষা করে নাই। আমি অনেক চেষ্টা করে টাকাপয়সা খরচ করে আমার তিনটা ছেলেকে জামিন করিয়েছিলাম। মন্ত্রীর ওয়াইফের (স্ত্রী) ইশারায় তাদের জামিন স্থগিত করা হয়েছে।’
প্রায় ৪৬ মিনিটের এই ফেসবুক লাইভে নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কর্মকাণ্ডের বিষয়েও সমালোচনা করেন কাদের মির্জা।
আরও পড়ুন
-
মন্ত্রী–এমপিদের স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার ঘটনায় শাস্তি হবেই: ওবায়দুল কাদের
-
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সংসদে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
-
আরাকান আর্মির হাতে ধরা পড়েছে কয়েক শ জান্তা সেনা
-
মংডুতে চৌকি পুনরুদ্ধারে বিমান হামলা, আকাশে আগুনের কুণ্ডলী
-
গণতন্ত্রের ঘাটতি বাংলাদেশের নানা ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে