Thank you for trying Sticky AMP!!

আগুনে পুড়ে যাওয়া কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের একাংশ

রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কাজ শুরু

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে আট শতাধিক তাঁবু তৈরির কাজ চলছে।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকতেই দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলো রোহিঙ্গারা পরিষ্কার করছেন। রোদ থেকে রক্ষার জন্য বাঁশ দিয়ে ত্রিপল টাঙানো হচ্ছে। এ সময় রোহিঙ্গা নেতা মুশতাক আহম্মেদ বলেন, তাঁরা এখনো ঘর বানাতে পারেননি। সরকারিভাবে কিছু খাবার দেওয়া হচ্ছে। আগুনে যাবতীয় জিনিস পুড়ে যাওয়ায় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের খাবারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর মাধ্যমে তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ চলছে।

এদিকে আজ দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শিবির এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন র‌্যাব-১৫–এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ। তিনি বলেন, র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে পোশাক বিতরণ করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত সোমবার বেলা তিনটার দিকে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় ৭ ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের তথ্যমতে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১১ জন। তবে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্যমতে, নিহতের সংখ্যা ১৫। অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ক্যাম্পের ১০ হাজারের বেশি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গৃহহীন হয়ে অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পাশে, পাহাড়–জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। ঘটনা তদন্তে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Also Read: রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ে মরলেন ১১ জন, ১০ হাজার ঘর ছাই