Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটে সকালে সূর্যের উঁকি, বৃষ্টি থামলেও ঢল আছে

সিলেটে বন্যায় তলিয়ে গেছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। পানিবন্দী উপজেলার সালুটিকর এলাকা। ছবিটি রোববার সকালে তোলা

চার দিন পর আজ রোববার সকালে সিলেটে সূর্যের দেখা মেলে। থেমেছে ভারী বৃষ্টি। তবে নদ-নদী দিয়ে ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। সিলেট নগরের কিছু উঁচু স্থানে পানি কমলেও সার্বিক অর্থে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের সব কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তবে সকাল ১০টার পর থেকে আকাশে আবার মেঘ দেখা যায়। সিলেট নগরের কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বানভাসি মানুষেরা বলেন, তাঁরা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে আছেন। দ্রুত এসব তাঁদের কাছে না পৌঁছালে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।

তবে জেলা প্রশাসন বলছে, নৌকাসহ জলযানের সংকটের কারণে সব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। সরকার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সেনাবাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা দেখতে আজ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ সিলেটে আসছেন বলে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আজ সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেট নগরের কিছু উঁচু এলাকা থেকে পানি নেমেছে। তবে নিম্নাঞ্চল এখনো আগের মতোই প্লাবিত আছে। সেখানে কোমর থেকে গলাসমান পানি আছে। বিশেষ করে নগরের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত উপশহরের অবস্থা খুবই করুণ। এ এলাকার অধিকাংশ স্থানে বুক থেকে গলাসমান পানি। এ ছাড়া কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, দক্ষিণ সুরমা, সিলেট সদর, বিশ্বনাথসহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় এখনো বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।

পাউবো সিলেট কার্যালয়ের সর্বশেষ সকাল নয়টার তথ্য অনুযায়ী, সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, লোভা, সারি, ধলাইসহ সব কটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। গতকালের চেয়ে আজ এসব নদ-নদীতে পানি বেড়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার তিনটি পয়েন্টে আগের দিনের মতো এখনো পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।