Thank you for trying Sticky AMP!!

সরে যান, দেশের মানুষ আপনাদের চায় না: মোয়াজ্জেম হোসেন

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও দলের কারাবন্দী সব নেতা-কর্মীর মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বুধবার বিকাল নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির এক সমাবেশে দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, মানুষের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। মানুষের ভেতরে যেদিন আগুন জ্বলে উঠবে, সেদিন আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। এখনো সময় আছে, মানে মানে কেটে পড়েন। সরে যান, দেশের মানুষ আপনাদের চায় না। জাতিসংঘের অধীনে একটি নিরপেক্ষ গণভোটের ব্যবস্থা করে দেখেন ৫ ভাগ ভোটও আপনারা পাবেন না। যত তাড়াতাড়ি পারেন সরে যান।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়া ও দলের কারাবন্দী সব নেতা-কর্মীর মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ বুধবার বিকেলে নগরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি। সমাবেশে ১৯৭৫ সালের বাকশাল গঠনের দিনকে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস উল্লেখ করে তা যুক্ত করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

Also Read: বিএনপির আন্দোলন এখন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাকশালের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিল। বাকশাল কায়েম করার কারণে শেখ মুজিবের দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডের পর কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না। ড. কামাল ও সাজেদা চৌধুরীর লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে জিয়াউর রহমান বাকশালের কবর থেকে মৃত আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়ে জীবিত করেন।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘যেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে, তারেক রহমান ৮ হাজার মাইল দূরে, বিএনপির মির্জা ফখরুলসহ নেতারা কারাগারে, সেই বিএনপিকে মোকাবিলা করতে বাহিনী নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে আপনাকে। এখানেই আপনার রাজনৈতিক পরাজয় হয়ে গেছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আপনি অনেক বড় বড় কথা বলেন। আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না, মানে না। আপনি বিএনপিকে নসিয়ত করেন। আপনাদের দিন শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ এখন রেশমি হাওয়াই মিঠাইয়ের দল।’

বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর দাবির কারণে সরকার ইভিএম বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁরা যেখানে প্রয়োজন সেখানে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন, আবার তাঁরা রাজাকারের ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে ভুল করেন না।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।