Thank you for trying Sticky AMP!!

স্ত্রীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়েই ঘরে আগুন দিয়ে দুই সন্তানকে মেরে ফেলেন তিনি

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত দুই সন্তানকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আগুন দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় অভিযুক্ত কামাল হোসেন (৪০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমার আদালতে জবানবন্দি দেন তিনি। তবে এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত মামলা হয়নি।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের চতল্লা বাড়িতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশু মারা গেছে এবং গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন তাদের মা। অভিযুক্ত কামাল হোসেন বশিকপুর গ্রামের মৃত আমিন উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। ঘটনার পর পুলিশ তাঁকে আটক করে।

Also Read: ঘুমন্ত সন্তান–স্ত্রীকে ঘরে রেখে ‘আগুন’, মারা গেল দুই শিশু

পোদ্দার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, কামালের স্ত্রী সব সময় তাঁর সংসার না করার হুমকি দিতেন। দুই সন্তানকে নিয়ে তাঁর স্ত্রী অন্যত্র চলে যাওয়ার কথাও বলতেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলে আসছিল। ১৫-২০ দিন আগে তাঁদের এই কলহ তীব্র হয়। ১৫-২০ দিন ধরে কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী কথা বলতেন না। এ কারণে কামাল ঘরে আগুন দিয়ে তাঁকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, দুই শিশুর লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কামাল হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগুন দেওয়ার সময় তাঁর ডান হাতের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, কামাল তাঁর বসতঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি ঘরে আগুন লাগিয়েছেন।

আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া দুই শিশুর নাম আবদুর রহমান (৩) ও আয়েশা আক্তার (৭)। গুরুতর দগ্ধ সুমাইয়া আক্তারকে (৩৫) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কামাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রীর কলহ চলছিল। তাঁরা আধাপাকা টিনশেড ঘরে থাকতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান ঘুমিয়ে গেলে কামাল ঘরের বাইরে এসে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার মারা যায়। স্ত্রী সুমাইয়া এবং ছেলে আবদুর রহমানকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।