ঘুমন্ত সন্তান–স্ত্রীকে ঘরে রেখে ‘আগুন’, মারা গেল দুই শিশু

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রী ও দুই সন্তানের ঘরের দরজা বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বশিকপুর গ্রামের চতল্লা বাড়িতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দুই শিশু মারা গেছে এবং গুরুতর দগ্ধ হয়েছে তাদের মা।

অভিযুক্ত কামাল হোসেন (৪০) ওই গ্রামের মৃত আমিন উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে। আগুনে পুড়ে মৃত দুই শিশুর নাম আবদুর রহমান (৩) ও আয়েশা আক্তার (৭)। গুরুতর দগ্ধ সুমাইয়া আক্তারকে (৩৫) রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে চন্দ্রগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, কামাল তাঁর বসতঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি ঘরে আগুন লাগিয়েছেন। কামালকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কামাল হোসেনের সঙ্গে স্ত্রীর কলহ চলছিল। তাঁরা আধা পাকা টিনশেড ঘরে থাকতেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান ঘুমিয়ে গেলে কামাল ঘরের বাইরে এসে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার মারা যায়। স্ত্রী সুমাইয়া এবং ছেলে আবদুর রহমান প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ইউনিয়ন পরিষদের স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, ভোররাতের দিকে আহত মা ও ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শিশু আয়েশার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।

ঢাকায় দগ্ধ দুজনের সঙ্গে রয়েছেন সুমাইয়ার চাচাতো ভাই মো. শাহ আলম। তিনি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, আজ বেলা দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন আবদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। তার মা সুমাইয়া আক্তারকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।