বাগেরহাটে যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতাসহ সাতজন কারাগারে
বাগেরহাটে নাশকতার মামলায় যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের নেতাসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বিকেলে বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১–এর বিচারক মো. আছাদুল ইসলামের আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুজাউদ্দীন মোল্লা, বাগেরহাট সদর থানা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক তাজমুল ইসলাম, যাত্রাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ফেরদৌস, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী নেতা হাসান ও রুবেল। অপর এক ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি পুলিশ ও আইনজীবীরা।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা সুজনের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, একটি নাশকতার মামলায় উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, জামায়াত-শিবিরে নেতাসহ সাতজন রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বাগেরহাট কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক দিলীপ সরকার বলেন, নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত সাতজনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৫ মে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা এলাকা থেকে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতিসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার জন্য সেখানে সংগঠিত হয়ে একদল ব্যক্তি গোপন বৈঠক করছিলেন উল্লেখ করে ওই ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের নামে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেখ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গায়েবি অভিযোগে করা মামলা দিয়ে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠাতে এ মামলা দেওয়া হয়েছে।
Also Read: বাগেরহাটে জামায়াতের ৫ নেতা-কর্মী কারাগারে