বাগেরহাটে জামায়াতের ৫ নেতা-কর্মী কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সভাপতিসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার মামলার পর তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সভাপতি রেজাউল করীম (৫৯), জেলা কমিটির সদস্য শেখ মো. ইউনুস (৫৩) এবং কর্মী মহাসিন শেখ (৩৫), মো. সাব্বির হাসেমী (৩০) ও তাঁর ভাই মো. হুসাইন হাসেমী (৩৫)।

পুলিশ জানায়, নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার জন্য গোপন বৈঠক করা হচ্ছে—এমন খবরে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত গুজিহাটী এলাকার শরিফুল ইসলামের মৎস্য ঘের থেকে গতকাল বুধবার রাতে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৭টি ককটেল, ৩টি রামদা, ১টি বড় ছুরি, ককটেলের অংশবিশেষ, ১৩টি বিভিন্ন আকৃতির বাঁশের লাঠি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলছে জামায়াত। জানাজায় অংশ নিয়ে ফেরার পথে পুলিশ তাঁদের আটক করেছেন বলে জামায়াতের দাবি।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে ওই ৫ জনসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের নামে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতা-কর্মীকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলছে জামায়াত। এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেখ আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সদর উপজেলার ডেমা এলাকায় তাঁদের এক কর্মীর মা মারা যান। আসরের নামাজের পর তাঁর জানাজায় অংশ নিতে জেলা কমিটির সভাপতিসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী গিয়েছিলেন। জানাজা শেষে বাগেরহাট শহরে ফেরার পথে কাড়াকাড়া এলাকায় ডেমা ব্রিজের কাছে একদল লোক তাঁদের পথ রোধ করে মারধর করে একটি গ্যারেজে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। সেখানে কোনো মিছিল, মিটিং ‍কিছুই ছিল না। কিন্তু শুধু শুধু তাঁদের ধরে মারধর করে, আবার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হলো।

জামায়াতের অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তাঁদের অভিযোগ সত্য না।