Thank you for trying Sticky AMP!!

লামায় ম্রোপাড়ায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনার ছয় দিন পর মামলা

বান্দরবানের লামায় সরইয়ের রেংয়েনপাড়ার হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর ম্রোদের একটি ঘর

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরইয়ে রেংয়েন ম্রোপাড়ায় হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার ছয় দিন পর মামলা হয়েছে। আজ শনিবার লামা থানায় পাড়ার কার্বারি (পাড়াপ্রধান) রেংয়েন ম্রো বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কোম্পানির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন ও প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিনসহ হামলার নির্দেশদাতা চারজন ও হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম, কেয়াজুপাড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. নুরু, লাম্বাখোলা ফজর আলীপাড়ার দেলোয়ার হোসেন, কেয়াজুমাঝেরপাড়ার দুর্যোধন ত্রিপুরা, হাজিরাম ত্রিপুরা, কেয়াজুপাড়ার এলাকার আবদুল মালেক ও মোহাম্মদ মহসিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১ জানুয়ারি গভীর রাতে ১৫০ থেকে ১৭০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে ছয়টি ছোট ট্রাকে করে রেংয়েন ম্রোপাড়ায় গিয়ে হামলা চালান। হামলাকারীরা ট্রাকে করে ধারালো অস্ত্র ও কেরোসিন ট্যাংক নিয়ে যান। হামলা থেকে পাড়াবাসী বনে-জঙ্গলে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। হামলাকারীরা চামরুম ম্রো, রেংওয়ই ম্রো ও সিংচ্যং ম্রোর বাড়ির চলার ঢেউটিন খুলে নিয়ে বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে তিনটি বাড়িতে থাকা মূল্যবান কাগজপত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ), ১৮ হাজার ২০০ টাকা ও বিভিন্ন গৃহসামগ্রী পাওয়া যায়নি। আরও পাঁচটি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ওই পাঁচটি বাড়ির সৌরবিদ্যুতের প্যানেল, আসবাবপত্র, কাপড়, কৃষিজ সরঞ্জামসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Also Read: লামায় ম্রোপাড়ায় আবার হামলা, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট