মাস্তানি বা অসৎ আচরণ কঠোর হাতে দমন করা হবে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাজীপুরের পরাজিত প্রার্থীও নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। বরিশাল সিটি করপোরেশন (আয়তনে) গাজীপুরের তিন ভাগের এক ভাগ। সিসিটিভি ক্যামেরায় ১২৬ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। কোনো মাস্তানি বা অসৎ আচরণ কঠোর হাতে দমন করা হবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেছেন সিইসি। গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় এ সভার আয়োজন করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রথমে কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীদের অভিযোগ শোনেন। পরে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সভায় সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭ জন মেয়র প্রার্থী ও ১৭৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। রাত ৮টায় শুরু হয়ে সোয়া ১০টা পর্যন্ত এই সভা চলে।
প্রার্থীদের উদ্দেশে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আচরণবিধি আপনাদের প্রতিপালন করতে হবে। আমরা সবকিছু দেখব না, দেখতে পারবও না। তবে গণমাধ্যমকে আমরা গুরুত্ব দিই। আমাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না।’
সভায় সিইসি আরও বলেন, ‘কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হবে না, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে হবে। কালোটাকা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু সেটার বাড়াবাড়ি স্পষ্ট হয়।’
সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ইভিএম পদ্ধতিকে সাধুবাদ জানালেও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন বিরোধিতা করেন। তিনি প্রশাসনের রদবদল এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান। একই দাবি ও অভিযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, সচিব জাহাঙ্গীর আলম, বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আক্তারুজ্জামান, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।