Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদত হোসাইন

রাজশাহীর সেই ছাত্রদল নেতাকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার

রাজশাহীর বাঘা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদত হোসাইন ওরফে মতিউর রহমানকে (৩০) নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তাঁকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে রাজশাহীর বাঘা থানায় আনা হয়।

বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা বলেন, রাতেই শাহাদতকে বাঘা থানায় আনা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলা ছিল। এ ছাড়া তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণে আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা ছিল তাঁর। পরে আর বাংলাদেশ ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। এ কারণে বেনাপোল থানায় গিয়ে আটকে গেছেন। তাঁকে আগের একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Also Read: রাজশাহীর সেই ছাত্রদল নেতার বেনাপোল থানায় ‘আত্মসমর্পণ’

গত সোমবার রাত থেকে শাহাদতকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে বাঘা থানায় তাঁর বাবা আবদুল খালেক একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তাঁর বাড়ি বাঘা উপজেলার মশিদপুর গ্রামে। পরে গতকাল ভোরে তাঁর সন্ধান পাওয়া যায় বেনাপোল পোর্ট থানায়। পুলিশের দাবি, সেখানে শাহাদত গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।

শাহাদতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি এলাকায় ব্যবসা করেন। গত শনিবার ব্যবসার কাজে নওগাঁ গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে রোববার রাতে বাড়িতে ফেরেন। সোমবার সন্ধ্যায় বাঘা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রির টাকা আনতে যান। সেখান থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। গত মঙ্গলবার ভোরে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, বাড়ির পাশে পদ্মা নদীর চরে একদল মানুষ তাঁকে ধাওয়া করেছে। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ। মশিদপুরে রাস্তার ওপর তাঁর গায়ের চাদর ও টর্চলাইট পাওয়া গেছে।

শাহাদতের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন বলেছিলেন, বিএনপির রাজনীতি করেন বলে এমনিতেই বাড়িতে থাকতে পারেন না তাঁর স্বামী। নানা জায়গায় থাকতে হয় তাঁর স্বামীকে। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পদ্মার চরে একদল মানুষ শাহাদতকে ধাওয়া করছিলেন বলে শাকিল নামের এক প্রতিবেশী জানান। তাই তাঁরা ভয়ে আছেন। তাঁর সঙ্গে এতগুলো টাকা ছিল। তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হলেন কি না, তা বুঝতে পারছেন না, নাকি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটাও বুঝতে পারছেন না।

Also Read: রাজশাহীতে ছাত্রদল নেতাকে পাওয়া যাচ্ছে না, থানায় পরিবারের অভিযোগ

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহাদতের স্ত্রী বলেন, তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। পরে কথা বলবেন। গতকাল রাতে তাঁর স্বামীকে রাজশাহীতে আনা হয়েছে। এই বলে ফোন কেটে দেন।

শাহাদতকে বেনাপোল থেকে আনার জন্য লিমন নামে তাঁর একজন বন্ধু গিয়েছিলেন। লিমন প্রথম আলোকে বলেন, শাহাদতকে নাশকতা মামলায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ছিল কি না, তা তাঁর জানা নেই। এ ছাড়া তিনি ঋণগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা–ও বলতে পারছেন না।